খুশবন্ত সিং-এর লেখালেখিতে যৌনতার একটুখানি বাড়াবাড়ি তাঁকে বানিয়েছে দিল্লির ডার্টি ওল্ডম্যান। খুব কাছে থেকে যাঁরা তাঁকে চেনেন, কেউ কেউ লিখেছেন, নারীর উষ্ণতা তাঁর রচনায় আছে বটে, কিন্তু তাঁর বিছানায় ছিল না; বিছানায় ছিল বড়জোর হট ওয়াটার ব্যাগের উষ্ণতা। আবার তাঁকেই বলা হয়েছে ‘গ্র্যান্ড ওল্ডম্যান অব ইন্ডিয়ান জার্নালিজম’। ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নিউইয়র্ক টাইমসে তিনি লিখেছেন, স্কুল ফাইনাল পাসের সার্টিফিকেট না থাকায় ইন্দিরা কেরানির চাকরিও পেতেন না। সেই প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সঞ্জয় গান্ধীকে বলেছেন, গুন্ডা। অন্যদিকে ইন্দিরার জারি করা জরুরি অবস্থাকে স্বাগত জানানোর কারণে তাঁকে বলা হয়েছে, চামচা। তিনি লিখেছেন, গর্দভও প্রধানমন্ত্রী হয়। যেমন দেবগৌড়া। বিদেশ থেকে চিঠি এসেছে, খামে কেবল লিখা : বাস্টার্ড খুশবন্ত সিং, ইন্ডিয়া। চিঠি পৌঁছে গেছে তাঁর কাছে। তিনি এমনই সুপরিচিত! ভারতীয়দের মধ্যে যাঁরা ইংরেজিকে সাহিত্য ও সাংবাদিকতার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছেন, তাঁদের অন্যতম প্রধান খুশবন্ত সিং। কথাসাহিত্য ও সাংবাদিকতা-দুটো একসঙ্গে মেলালে পাঠকভাগ্যে কেউ তাঁকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। বিশ্বস্ত ও সুখপাঠ্য অনুবাদে খুশবন্ত সিং-কে পেতে আন্দালিব রাশদীই প্রধান ভরসা, তিনিই দিতে পারেন খুশবন্ত সিং-এর হরেক রকম স্বাদ। এই দুখণ্ড বই ছাড়া যে আপনার সংগ্রহটি অসম্পূর্ণ।