“বল্মীক” বই এর ফ্লাপের লেখা
নিজেকে পল্লবগ্রাহী বলতেন নারায়ণ সান্যাল। বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে অবাধ সঞ্চরমান ছিল তাঁর মানসলোক। সাহিত্যজীবনের ঊষাযোগ থেকেই তিনি পুববাংলার একদল বৃন্তচ্যুত মানুষকে নিয়ে ক্রমাগত লিখে চলেছিলেন। স্থপতি হিসেবে সরকারি চাকরি জীবনের প্রথম পর্যায়ে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের কাজে সরাসরি যুক্ত থাকার ফলে কাছ থেকে ছিন্নমূল মানুষগুলিকে দেখার সুযোগ ঘটেছিল তাঁর। দেখেছেন সব-হারানো মানুষগুলো কীভাবে আপ্রাণ লড়াই চালাচ্ছে এ-দেশের মাটিতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য। দেখেছেন তাদের মধ্য থেকেও সুবিধাবাদ, সুযোগ সন্ধানীদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা। আবার দেখেছেন অন্ধকারের মধ্যে একচিলতে আলোর মতো হতাশার তমসা থেকে আশার জ্যোতি। তাঁর এই দর্শন, এই উপলব্ধিই উপন্যাসের উপজীব্য হয়ে উঠেছে বারংবার। বল্মীক এই সোনার বাংলার ছিন্নমূল মানুষকে নিয়ে লেখা উপন্যাস। হতাশার অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়া নয় । বরং অন্ধকার মধ্য থেকে উৎসারিত হওয়া আলোর সন্ধানই এই উপন্যাসে।