“ক্ষুদিরাম” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে স্বদেশকে উদ্ধার করে স্বাধীনতা অর্জনের সূচনাপর্বে যাঁরা আত্মােৎসর্গ করেছিলেন, তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য ক্ষুদিরাম বসু। বঙ্গভঙ্গ-বিরােধী আন্দোলন সবেমাত্র সংগঠিত হয়েছে, সহিংস বা অহিংস আন্দোলনের রূপরেখা তখনও অঙ্কিত হয়নি, কিন্তু দেশকে মুক্ত করার একটা স্বপ্ন তরুণ বাঙালিরা দেখছিলেন।
এ কাজে জীবন তাদের কাছে পায়ের ভৃত্য হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল বরণীয়। সংশপ্তকের প্রতিজ্ঞা নিয়ে এঁরা গােপনে গােপনে দেশমন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। সেই মন্ত্রই ক্ষুদিরাম-প্রফুল্ল চাকীকানাইলালদের জাগিয়ে দিয়েছিল। সেই জাগরণী মন্ত্রে দীক্ষিত ক্ষুদিরাম সঙ্গী প্রফুল্ল চাকীকে নিয়ে দূর।
মজঃফরপুরে ব্রিটিশ শাসনযন্ত্রের এক অপরাধীকে হত্যা করার জন্য ছদ্মনামে গিয়েছিলেন। শৈশববাচিত একটা ভুলের শিকার হয়ে তারা লক্ষ্যভ্রষ্ট। পরিণামে প্রফুল্লের আত্মহত্যা আর ক্ষুদিরামের ফাঁসি- যে ফাঁসির যন্ত্রণা দেশকে আবার উদ্দীপনাময় করে তুলেছিল, বিকল হতে বসেছিল সমগ্র ব্রিটিশ নিপীড়নযন্ত্র। এই সেই জাগরণী মন্ত্র, নিপীড়ন ও আত্মােৎসর্গের এক মহান কাহিনি।