ধীরাভংস (সংযোগ) এর বন্দনা।
সাপের রাজা জশুভংস ও রানী রীরাভংস এক জোৎস্না স্নাত রাতে নানারকম কথাবার্তা বলতে বলতে আধ্যাত্মবাদের গভীরে চলে গিয়েছিল। সে রাতে ওরা অনেক ভাবনা-চিন্তার পর সিদ্ধান্তে উপনীত হল যে, যেহেতু মানুষই সৃষ্টির শ্রেষ্ট মাখলুকাত, যেহেতু অন্য সকল মাখলুকাতের মতো সাপেদেরও জন্ম হয়েছে মানুষের সেবায় আসবার জন্যেই, তাহলে আর এভাবে বণে-বাদারে বসে জীবন কাটানো কেন! শীঘ্রই ওদেরকে চলে যেতে হবে মানব সমাজে। সেখানে গিয়ে প্রত্যক্ষভাবে মানুষের সেবায় আত্মনিবেদন করতে হবে। মহান মানুষের সেবা-কর্মের মধ্যেই যে খুজে পাওয়া যাবে কাঙ্খিত ও সমৃদ্ধ সেই পরোকাল। ঘটনাক্রমে দায়িত্ব চেপে বসেছিল যুবরাজ ধীরাভংসের ওপর। ধীরাভংস একদিন বিস্তর পরিমাণে সোনাগয়না-টাকাপয়সা নিয়ে মানব সমাজে চলে গেল, সমস্যাগ্রস্থ মানুষ দেখলেই সেগুলো অকাতরে বিলিয়ে দিল। তবে অচিরেই তার মনে হলো, এত মানুষের মধ্যে আসল মানুষ কে এবং কোথায়? তা ছাড়াও মানুষের উপকার করাটা এতটাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে কেন? এভাবেই ঘটনা চলতে থাকল, ঘটনাগুলো জন্ম দিতে থাকল একের পর এক অনিবার্য্য অনেক অঘটন।