“সাইন্টিফিক আল কুরআন” বইয়ের ভূমিকাঃ
সকল প্রশংসা মহান রাব্বল আলামীনের, যার অশেষ রহমতে ‘সাইন্টিফিক আল কুরআন’ শীর্ষক গ্রন্থটি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। দুরূদ ও সালাম প্রেরণ করছি বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর উপর যার উপর অবতারিত হয়েছে বিজ্ঞানময় আল কুরআন।
কুরআন হলাে ইসলামের সংবিধান, একটি জীবনব্যবস্থার দলিল। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের ন্যায় এ কুরআন কেবল মানুষের আধ্যাত্মিক দিক নিয়েই আলােচনা করে না; বরং জীবনের সর্ব দিকই এ গ্রন্থে বিশদভাবে আলােচিত। একটি জীবনব্যবস্থার সংবিধান হিসেবে কুরআন সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের প্রথম ওহী হলাে সূরা আলাকের প্রথম ৫ আয়াত। এ ৫টি আয়াতের মাধ্যমেই বিজ্ঞান চর্চার নানবিধ মূলনীতি বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও মহাগ্রন্থ আল কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে বিজ্ঞান চর্চায় অনুপ্রেরণা দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞানময় গ্রন্থ হলাে আল কুরআন, যার তথ্যাবলি কখনাে কোনাে ধরনের সন্দেহের মাঝে পড়েনি এবং পড়বেও না।
কুরআনের আলােকে জীবন গড়া এবং ঈমানী চেতনাকে আরাে সুদৃঢ়করণে আধুনিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় কুরআনী নির্দেশনাবলি জানার প্রয়ােজনীয়তা অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় কুরআনের এ সকল নিদর্শনাদি আমাদেরকে ভাবতে শিখায় তার সৃষ্টি সম্পর্কে, বিশ্বাস করতে শিখায় অসীম ক্ষমতাধর মহাপ্রভুর নির্ধারিত আখিরাতকে। খুবেই ছােট্ট পরিসরে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় কুরআনে বর্ণিত বিভিন্ন নিদর্শনাদি তুলে ধরেই এ গ্রন্থের অবতারণা।
এ গ্রন্থ রচনায় যেসকল লেখকের লিখনী আমাকে ঋণী করেছে, তাদের প্রতি রইলাে আকুণ্ঠ শ্রদ্ধা।
পাঠক সমাজের যেকোনাে ইতিবাচক সমালােচনা সাদরে গৃহিত হবে।