সাইন্টিফিক আল কুরআন

৳ 475.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849109969
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৩৮৩
সংস্কার 1st Published, 2017
দেশ বাংলাদেশ

“সাইন্টিফিক আল কুরআন” বইয়ের ভূমিকাঃ
সকল প্রশংসা মহান রাব্বল আলামীনের, যার অশেষ রহমতে ‘সাইন্টিফিক আল কুরআন’ শীর্ষক গ্রন্থটি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। দুরূদ ও সালাম প্রেরণ করছি বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর উপর যার উপর অবতারিত হয়েছে বিজ্ঞানময় আল কুরআন।
কুরআন হলাে ইসলামের সংবিধান, একটি জীবনব্যবস্থার দলিল। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের ন্যায় এ কুরআন কেবল মানুষের আধ্যাত্মিক দিক নিয়েই আলােচনা করে না; বরং জীবনের সর্ব দিকই এ গ্রন্থে বিশদভাবে আলােচিত। একটি জীবনব্যবস্থার সংবিধান হিসেবে কুরআন সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের প্রথম ওহী হলাে সূরা আলাকের প্রথম ৫ আয়াত। এ ৫টি আয়াতের মাধ্যমেই বিজ্ঞান চর্চার নানবিধ মূলনীতি বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও মহাগ্রন্থ আল কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে বিজ্ঞান চর্চায় অনুপ্রেরণা দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞানময় গ্রন্থ হলাে আল কুরআন, যার তথ্যাবলি কখনাে কোনাে ধরনের সন্দেহের মাঝে পড়েনি এবং পড়বেও না।
কুরআনের আলােকে জীবন গড়া এবং ঈমানী চেতনাকে আরাে সুদৃঢ়করণে আধুনিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় কুরআনী নির্দেশনাবলি জানার প্রয়ােজনীয়তা অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় কুরআনের এ সকল নিদর্শনাদি আমাদেরকে ভাবতে শিখায় তার সৃষ্টি সম্পর্কে, বিশ্বাস করতে শিখায় অসীম ক্ষমতাধর মহাপ্রভুর নির্ধারিত আখিরাতকে। খুবেই ছােট্ট পরিসরে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় কুরআনে বর্ণিত বিভিন্ন নিদর্শনাদি তুলে ধরেই এ গ্রন্থের অবতারণা।
এ গ্রন্থ রচনায় যেসকল লেখকের লিখনী আমাকে ঋণী করেছে, তাদের প্রতি রইলাে আকুণ্ঠ শ্রদ্ধা।
পাঠক সমাজের যেকোনাে ইতিবাচক সমালােচনা সাদরে গৃহিত হবে।

মোহাম্মদ নাছের উদ্দিন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)-এর প্রভাষক (ইসলামিক স্টাডিজ)। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার অর্ন্তগত মান্দারী ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা অধ্যাপক মাওলানা মো: আবদুল লতীফ ও মাতা নাসিমা আক্তার। তিনি তাঁর পিতা-মাতার কাছেই ইসলামি শিক্ষার মূল উৎস কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনের শুরুতে তিনি ‘সৃজন কিন্ডার গার্টেন’-এ পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষা লাভ করেন। সাধারণ শিক্ষা ছেড়ে তিনি ইসলামি শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে চন্দ্রগঞ্জ কারামাতিয়া কামিল মাদ্রাসায় ভর্তি হন। পরবর্তীতে তিনি যাদৈয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা হতে দাখিল, আলিম ও ফাজিল পাস করেন এবং মাদ্রাসা-ই আলিয়া, ঢাকা থেকে হাদিস বিভাগে কামিল পাস করেন। একইসাথে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। বি.এ অনার্স শ্রেণিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সর্বোচ্চ নম্বর ‘ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট’ হওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সিটিটিউট (আই.ই.আর) থেকে গবেষণা প্রশিক্ষণ কোর্স Advanced Course on Research Methodology সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিপর্যয় প্রতিরোধে ইসলাম : পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শিরোনামে এম.ফিল গবেষণা করেছেন। তিনি একজন গবেষক, লেখক ও অনুবাদক। ইতোমধ্যে তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অর্থায়নে ‘শ্রমিকের কর্মস্থলের নিরাপত্তা বিধানে ইসলাম : পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের গবেষণা সহকারী হিসেবে গবেষণাকর্ম সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে ‘ইসলামের আলোকে বর্জ ব্যবস্থাপনা : পরিপ্রেক্ষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ গবেষণা প্রকল্পের গবেষণা সহকারী হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। গবেষণা প্রবন্ধ, রেফারেন্স গ্রন্থ, অনুবাদ, সংকলন বই মিলিয়ে তার প্রকাশনা সংখ্যা ত্রিশোর্ধ।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ