বই পরিচিতি:<br নিশানের মোবাইল ফোন বেজে উঠল। সেট হাতে নিয়ে ডিসপ্লের দিকে তাকাতেই সে যেন বিকট ধাক্কা খেল। কল রিসিভ করে ‘হ্যালো’ বলতেই আরও চমকে উঠল নিশান! ওপাশ থেকে রেখার কণ্ঠস্বর! কীভাবে সম্ভব?-মৃত মানুষের কণ্ঠ! রেখা মারা যাওয়ার পর অনুভূতি-বোধশক্তি-স্মৃতি সব ভোঁতা হয়ে গেছে। এক ভয়ংকর ঘোরের মধ্যে আছে সে। শেষমেশ তার মাথা খারাপ গেল নাকি? কাঁপা গলায় নিশান বলল, ‘কে?’
ন্যানো কবি নিশান প্রকৃতি ও জীবনের নানা গল্প ও সত্য ছন্দোবদ্ধ করে। হঠাৎ-ই অদ্ভুতুড়ে এক রহস্যের জালে আটকে যায় তার জীবন! সেই মায়াজাল ছিন্ন করতে উন্মুখ হয়ে ওঠে সে। পাঠকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ন্যানো কবির জীবনালেখ্য ‘মায়া’ বারবার উঠে এসেছে বেস্ট সেলার উপন্যাসের তালিকায়।
ভূমিকা (লেখকের কথা):
মন বড় বিচিত্র। কখনো আটকে যায় সঙ্গীর মায়ায়; কখনো থাকতে চায় নিঃসঙ্গতার মায়ায়। জীবনে নিঃসঙ্গতার মায়ায় জড়িয়ে পড়া এমনই এক মুহূর্তে হঠাৎ খুঁজে পেলাম, ‘মায়া’ কোনো সাধারণ শব্দ নয়! হররোজ খুঁজে চলা জীবনের খোঁজ যেন আছে ‘মায়া’ শব্দটির ভেতরেই। জীবন মানেই তো মায়ার (মমতা বা ভালোবাসা) কতক সুতার অস্তিত্ব ধীরেধীরে স্পষ্ট হওয়া! কখনো মায়ার (মোহ বা ইন্দ্রজাল) কবলে পড়ে সম্পর্কের সুতা হয় মোহাচ্ছন্ন; কখনোবা মায়ার (ছলনা বা কপটতা) ছোবলের তোড়ে সম্পর্কের সুতাই ছিঁড়ে যায়! তবে থেমে থাকে না জীবন। এই মায়াম-লে পরম স্থির কিছুই নেই। মায়াময় নতুন অনুষঙ্গে জড়িয়ে জীবন এগিয়ে যায় সময়ের সাথে।
আসিফ মেহ্দী
চামেলী কটেজ, বসন্তপুর, ঝিনাইদহ
জানুয়ারি, ২০১৫
বইটির উৎসর্গপত্র:
জীবনের ক্যাটালগে আছে অ্যানালগ মায়া; আছে ডিজিটাল মায়া। অ্যানালগ মায়া গড়ে পৃথিবীর কায়া; কিন্তু ডিজিটাল মায়া ছায়াসর্বস্ব! অ্যানালগ এই জীবনে আনন্দ-বেদনা-উৎসবের ক্ষণে কিছু প্রিয়মুখ পাশে পাই। তাদের সংস্পর্শ আনন্দকে করে পূর্ণ; বেদনাকে করে চূর্ণ। শুভকামনা সেই দুই দম্পতির জন্য-
-আতিক মেহ্দী ও ত্রিষামা রেজওয়ানা
তারেক মেহ্দী ও আজবীনা রহমান।