হে আমার যুবক ভাই

৳ 70.00

লেখক
প্রকাশক
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৩২
সংস্কার 1st Published, 2018
দেশ বাংলাদেশ

“হে আমার যুবক ভাই” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
যুবকদের বলা হয় জাতির ভবিষ্যত। কারণ তাদের স্কন্ধেই অর্পিত হয় প্রত্যেক জাতির আগামীর পথ-পরিচালনার গুরুদায়িত্ব। সেজন্যই যৌবনের বিপদসঙ্কুল কণ্টকাকীর্ণ উত্তালময় দিনগুলােতে যাতে যুবকরা সঠিক পথে বহাল থাকতে পারে সেজন্য প্রবীণদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে তাদের দিকনির্দেশনা প্রদান করা। অন্ধকারাচ্ছন্ন পথে। মশাল হাতে তাদের পথ চিনিয়ে নিয়ে যাওয়া। সিরিয়ান কথাসাহিত্যিক আলী তানতাবি রাহ. ঠিক এই কাজটিই করেছেন তার কোন এক সেমিনারে প্রদত্ত একটি ভাষণে। পরবর্তীতে তাঁর সম্পাদনায় সেই ভাষণটির লিখিত রূপ প্রকাশিত হয়। যার নাম দেওয়া হয় ‘আলমাসালুল আলা লিশশাব্বিল মুসলিম’। যুবকদের উদ্দেশ্যে করে দেওয়া ভাষণটিতে তিনি অনেক উপকারী দিকনির্দেশনা পেশ করেছেন যুবসমাজের সামনে। হুদহুদ প্রকাশন সবসময়ই পাঠকের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে বই প্রকাশে মনােযােগী। সেই ধারাবাহিকতায় পাঠকের উপকারের প্রতি লক্ষ্য রেখেই এই বইটি প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বিংশ শতাব্দীর এক সমাজচিন্তক দার্শনিক ড. শায়খ আলী তানতাবী। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে সিরিয়ার দামেশক নগরীতে তাঁর জন্ম। পৈত্রিক আবাস মিসরের তানতা শহর হওয়ায় তানতাবী নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। ছাত্রজীবনেই তুখােড় মেধার কারণে তিনি গবেষক শিক্ষকগণের দৃষ্টি কাড়েন। সেকালে গবেষণা ও জ্ঞানসাধনায় তার পারিবারিক ঐতিহ্য ছিল ঈর্ষণীয়। সেই পরিবারেই তিনি ইসলামি ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করে ঐতিহ্যের তিলকে সােনার প্রলেপ আঁটেন। সতেরাে বছর বয়স। থেকেই বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর গবেষণামূলক প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও গল্প প্রকাশ হতে থাকে। ১৯৩৬ সালে সাম্রাজ্যবাদীদের জুলুম ও শােষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তিনি ইরাক গমন করেন। সুদীর্ঘ পাঁচ বছর পর দামেশকে ফিরে এসে বিচারক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে যােগ্যতার সিঁড়ি বেয়ে তিনি প্রধান বিচারপতির আসন অলঙ্কৃত করেন। আর লেখালেখি! সে তাে তার নেশা। এ নেশা তার মজ্জার সাথে মিশা। একটু সময় পেলেই এ চিন্তাবিদ কাগজ কলম হাতে লিখতে বসে যেতেন। তাঁর জ্ঞানের নিগুঢ় চশমায় ধরা পড়ে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘাপটি মেরে থাকা অসঙ্গতির কালাে পাহাড়। সেই অমানিশা দূর করতে তিনি। জ্বালান নানান রঙের জ্ঞানের মশাল। সেই আলােয় বিদুরিত হয় শত প্রকারের। আঁধার-অজ্ঞানতা; সম্বিৎ ফিরে পায়। হতাশাচ্ছন্ন জাতি। গবেষণামূলক লেখালেখির খ্যাতির মধ্য দিয়ে তিনি মক্কা মােকাররমা শরিয়া কলেজের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। বিভিন্ন মিডিয়ায় যুগ-জিজ্ঞাসার সমাধানমূলক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। পাশাপাশি নিয়মিত পত্র-পত্রিকায় কলাম লেখা, বিষয়ভিত্তিক গ্রন্থ প্রণয়ন আর বিভিন্ন মাদরাসা-কলেজে দরসদানও চলতে থাকে সমান গতিতে। ১৯৯৯ সালে ৯০ বছর বয়সে এ শায়খ মক্কা নগরীতে ইন্তেকাল করেন।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ