আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দ্য গড অভ স্মল থিংস-এর রচয়িতার চমকপ্রদ, গতিশীল নতুন উপন্যাস। দ্য মিনিস্ট্রি অভ আটমােস্ট হ্যাপিনেস আন্তরিক সফরে আমাদের নিয়ে চলেছে ভারতীয় উপমহাদেশের বহুবছরের ইতিহাসের ভেতর দিয়ে-পুরনাে দিল্লির ঘিঞ্জি মহল্লা আর নতুন শহরের পথঘাট থেকে শুরু করে কাশ্মীরের পাহাড়পর্বত-উপত্যকা ছাড়িয়ে, যেখানে যুদ্ধই শান্তি এবং শান্তিই যুদ্ধ। একটি কষ্টকর ভালােবাসা এবং প্রবল প্রতিবাদে, ফিসফিসিয়ে, চড়াকণ্ঠে, নিরাবেগ অশ্রু আর কখনও কখনও তিক্ত হাসির ভেতর দিয়ে বলা এই কাহিনী। অনেপনীয় দরদের সাথে ফুটিয়ে তােলা হয়েছে এর প্রতিটি চরিত্র। আপন আবাস জগতের হাতে বিধ্বস্ত এবং তারপরই উদ্ধার করে ভালােবাসা আর আশায় জুড়ে দেওয়া মানুষগুলােই এর নায়ক। শহরের এক গােরস্তানে পারসি গালিচা বিছানাে আঙুমকে-আফতাব ছিল। ও নিয়ে গল্পের শুরু; ওটাকেই ঘর বলে ও। অদ্ভুত, অবিস্মরণীয় তিলাে এবং ওর প্রেমিকদের সাথে পরিচয় ঘটে আমাদের: প্রণয়ী মুসা এবং সাবেক প্রণয়ীরা, প্রেমিক আর প্রাক্তন প্রেমিক; সর্বক্ষণ জড়িয়ে থাকা বাহুর মতােই ওতপ্রােতভাবে মিশে আছে ওদের নিয়তি। তিলাের বাড়িঅলার সাথে পরিচয় হয় আমাদের, এখন কাবুলে পােস্টিংয়ে থাকা ওর সাবেক পাণিপ্রার্থী ইন্টেলিজেন্স অফিসার। তারপরই দুজন মিস জেবীনের দেখা পাই আমরা: প্রথম জনকে শ্রীনগরে জন্ম নেওয়ার পর সেখানকার কবরে ঠাসা ‘শহীদী গােরস্তানে গাের দেওয়া হয়েছে; দ্বিতীয়জনকে পাওয়া গেছে মাঝরাতে নিউ দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে সাইডওয়াকে পরিত্যক্ত অবস্থায়। প্রীতিকর, গভীরভাবে মানবিক এই উপন্যাস ওদের জীবনকে একসূত্রে গাঁথার পাশাপাশি উপন্যাস কী করতে পারে, কেমন হতে পারে সেটাই নতুন করে আবিষ্কার করছে। দ্য মিনিস্ট্রি অভ আটমােস্ট হ্যাপিনেস এর প্রতিটি পৃষ্ঠা অরুন্ধতী রায়ের গল্প বলার অলৌকিককেই তুলে ধরেছে