“দ্য মিনিস্ট্রি অফ আটমোস্ট হ্যাপিনেস” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: আমাদের নিয়ে যায় বহু বছরের এক সফরে- গল্পের কাটিম খুলতে থাকে পুরনো দিল্লীর একটা সংকীর্ণ মহল্লা থেকে ক্রমবর্ধমান মহানগরী ছাড়িয়ে আরও দূরে, কাশ্মির উপত্যকায় এবং মধ্য ভারতের বনভূমিতে, যেখানে যুদ্ধই শান্তি এবং শান্তিই যুদ্ধ এবং যেখানে পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ ঘোষিত হয় মাঝে-মধ্যে। আনজুম, যার নাম ছিল আফতাব, একটা জীর্ণ গালিচার পাক খোলে নগরীর একটা কবরখানায় যেটাকে সে বলে বাড়ি। একটা নবজাত শিশুর আকস্মিক আবির্ভাব ঘটে এক প্রেভমেন্টের ওপর, মধ্যরাতের সামান্য পরে, একটা আবর্জনার টুকরিতে। প্রহেলিকাপূর্ণ এস. তিলোত্তমা তিন ব্যক্তির জীবনে যতটুকু উপস্থিত ঠিক ততটুকুই অনুপস্থিত যে তিন ব্যক্তি তাকে ভালবাসে।
দ্য মিনিস্ট্রি অফ আটমোস্ট হ্যাপিনেস তাৎক্ষণিক এক বেদনার্ত প্রেমকাহিনী এবং এক নিষ্পত্তিমূলক প্রতিবাদ। তা বলা হয়েছে ফিসফিস করে, চিৎকার করে, অশ্রুর ভিতর দিয়ে এবং কখনও বা হাসির মাধ্যমে। এর নায়কেরা ভেঙে পড়েছে যে দুনিয়ায় তারা বাস করে সেই দুনিয়ার চাপে, তারপর উদ্ধার পেয়েছে ভালবাসায় এবং আশায়। এই কারণে তারা যেমন ইস্পাতকঠিন তেমনই ভঙ্গুর, কিন্তু তারা কখনও আত্মসমর্পণ করে না। এই মোহসঞ্চারী, চমকপ্রদ বইটি নতুন রূপে উপস্থাপন করছে একটা উপন্যাস কী করতে পারে আর কী হতে পারে। আর এর প্রতি পাতায় প্রদর্শন করছে অরুন্ধতী রায়ের গল্প বলার অলৌকিক গুন।
সূচী
১। বুড়ো পাখিরা কোথায় যায় মরতে-১৫
২। খোয়াবগাহ্-১৯
৩। জন্ম-১০৭
৪। ড. আজাদ ভার্তিয়া-১৩৭
৫। ধীর-হংসী ধাবন-১৪৭
৬। পরের কিছু প্রশ্ন-১৫১
৭। বাড়িওয়ালা-১৫৫
৮। ভাড়াটে-২২৫
৯। প্রথম মিস জেবীনের অকাল মৃত্যু-৩১৯
১০। পরমসুখ মন্ত্রণালয়-৪০৭
১১। বাড়িওয়ালা-৪৪৩
১২। গুইহ্ কিওম-৪৫১