১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চ লাইটের কার্যক্রম শুরু করেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলকানা ইপিআর, রাজারবাগ পুলিম লাইন, জনন্নাথ হল প্রভৃতি স্থানে নির্বিচারে নিরস্ত্র মানুসের ওপর হামরা শুরু হয়েছিল। বাঙালিদের মুক্তি সংগ্রাম শুরু হওয়ার চূড়ান্ত মুহূর্তে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে বলা সত্ত্বেও তাঁর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবন ছেড়ে যাননি তিনি। এরপর পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে প্রেপ্তার করে। ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাসভবন থেকে পাকিস্তানি সেনা সদস্যরা রাত ১টা ১০ মিনিজে বঙ্গবন্ধুকে প্রেপ্তার করে ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন ২৬ মার্চ তাঁকে বিমানে করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কারাগারে বন্দি করি রাখার জন্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারের অর্জন প্রকোষ্ঠে নয় মাস ১৪ দিন বন্দী ছিলেন।
পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ কারারুদ্ধ হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে ঢাকায় সেক্রেটারিয়েট ভবনের সামনে পিকেটিং করতে গিয়েই তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। পাকিস্তানি শাসনের ২৪ বছরের মধ্যে ১২ বছরিই বঙ্গবন্ধুকে কারাজীবন কাটাতে হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত আমার উল্লেখযোগ্য লেকাগুলো বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন বইটিতে স্থান পেয়েছে।
সূচিপত্র
* স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-৯
* চির ভাস্বর বঙ্গবন্ধু-২৮
* বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন-৪০
* বাঙালির নয়নের মণি-৫৪
* উন্নয়নের কাণ্ডারি-৭১
* বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন-৮২
* ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু-৯৪
* জাতির পিতা ও বিদ্রোহী কবি-১০৭