‘ড্রাগন সীড’ গুড আর্থের মতোই বিখ্যাত উপন্যাস। চীনদেশের পুরোনো কিংবদন্তী অনসারে লেখিকা যে বীর-কাহিনি বিবৃত করেছেন, তারা কেউ কিংবদন্তীর নরনারী নয়। সাধারণ কৃষক পরিবারের স্ত্রী ও পুরুষ। তারা বংশ পরম্পরায় সৎভাবে বাঁচতে চায়, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলায়। অথচ তাদের দুঃখ দুর্দশা লেগেই আছে।
বিদেশি শোষণের আওতায় কিভাবে একটি দেশের শ্রমনিষ্ঠ মানুষকে জোর করে চণ্ডুখোর বানানো হলো, চীনের পুতুল সামন্তবর্গ বিদেশিদের সঙ্গে মিলে গরিবদের উপর নির্মম পীড়ন চালিয়েছে- তারই ছবি ‘ড্র্যাগন সীড’।
চীনের সমাজকে বাক ভিতর থেকে দেখেছেন, আবার নিজের বিশেষ মার্কিনী অবস্থান সম্পূর্ণ ভুলে যাননি- তাতে বিরক্তি তার স্বাদ যোগ হয়েছে। অ্যাটলান্টিক মান্হীল ঠিকই বলেছিলেন, ‘ড্রাগন সীডের চেয়ে ভালো কিছু পার্ল বাক লিখেছেন কিনা আমার সন্দেই আছে। এই উপন্যাসের কিছু কিছু বিষয় নিশ্চয় নোবেল-কমিটি বিবেচনা করেছেন।’