“মহাভারতের পথে দুই” বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথা: প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক বহুমুখিতার আকর্ষণে আমি ভারতকে বলেছি ‘মহাভারত’যাকে আগলে রেখেছে হিমালয় ও কারাকোরামের বিশাল বাহু আর একটি উপসাগর, দুটি সাগর এবং একটি মহাসাগরের বিপুল-বিশাল জলরাশি। যদিও আজকে সে ভূখণ্ড বহু-বিভক্ত ও সংকীর্ণ ভ্রাত্রিঘাতীসংঘর্ষে রক্তাক্ত; তর আমার বিশ্বাস মানুষ এই রাজনৈতিক বিভাজনকে অতিসত্বর গৌণ করে তুলবে।
ভারত ভ্রমণ শুরু করেছিলাম ছাত্রজীবনেই। কাজে, চিকিৎসায়, পর্যটনে, শিক্ষা ও প্রেমের মধ্যে দিয়ে দেখেছি বিশাল এই দেশ, চিনতে চেয়েছি মানুষ, মেলাতে চেয়েছি ইতিহাস এবং যােগসূত্র টেনেছি বিরােধের সূত্রসমূহে। কালের ধারাবাহিকতা সর্বত্র রক্ষা করা যায়নি—তবু প্রেমকে বড় করার চেষ্টাই ছিল মূল লক্ষ্য। নতুন ভ্রমণ-সিরিজের পঞ্চসিড়ির দ্বিতীয় ধাপ এটি। এই খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে: ভেলাের, ব্যাঙ্গালাের, শ্রীরঙ্গপাটনা, মহীশূর, উটি, কোচিন, ত্রিবান্দ্রাম, কন্যাকুমারী, হায়দ্রাবাদ, মাদ্রাজ ও দিল্লি। প্রিয় পাঠক, চলুন—প্রবেশ করি মহাভারতে।