“বরণীয় বিজ্ঞানীদের স্মরণীয় আবিষ্কার” বই নিয়ে কিছু কথা:
বিজ্ঞানের উন্নতি ও নানা আবিষ্কারের পরে আজ আমাদের কত সুবিধাই না হয়েছে। যেমন—আমরা ট্রেনে চড়ি, প্লেনে চড়ি, টেলিভিশন দেখি, ঘরে বসে মােবাইলে কথাবলি, এসিতে বাতাস নেই। আবার একটু সর্দি কাশি-জ্বর হলেই ডাক্তারের কাছে গিয়ে ওষুধ নিয়ে আসি এবং খেয়ে ভালাে হয়ে যাই। এ রকম কত আবিষ্কার যে আছে তা এতাে অল্প কথায় বলে শেষ করা যাবে না। বিজ্ঞানের এই আবিষ্কারগুলাে কত সহজ ও স্বাভাবিক বলে মনে হয় আমাদের কাছে। কিন্তু সত্যি সত্যি তাে আর ব্যাপারটা তত সহজ ছিল না। মনে রাখতে হবে এইসব আবিষ্কারের পিছনে রয়েছে বহু বিজ্ঞানীদের বহুদিনের কঠোর সাধনা, অধ্যবসায় ও নিষ্ঠা। তখন বিজ্ঞানীদের কাছে খুব বেশি সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি ছিল না। কিন্তু এ কথা সত্যি যে তাঁদের সকলেরই জীবনসংগ্রামে জয়ী হবার এক অদম্য বাসনা ছিল। আসলে বিদ্যুতের আবিষ্কারই মানুষের সভ্যতাকে ঠেলে দিয়েছে অনেকখানি। আমার ছােট্ট বন্ধুরা ছেলেবেলা থেকেই যাতে একটা বৈজ্ঞানিক মেজাজ ও দৃষ্টিভঙ্গিতে গড়ে ওঠে, প্রতিভাধর বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারগুলাের প্রতি তারা গভীর শ্রদ্ধাশীল হয়, তাঁদের কঠোর শ্রম ও আত্মত্যাগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হতে পারে—এই উদ্দেশ্য নিয়েই “বরণীয় বিজ্ঞানীদের স্মরণীয় আবিষ্কার”-এর কথা গল্পের মতাে হৃদয়গ্রাহী করে লেখা হয়েছে। আজকের এই নবীন পাঠকের মধ্যেই হয়ত ভাবী বিজ্ঞানীদের সুপ্ত সম্ভাবনার সােনালী বীজ নিহিত আছে।