টলস্টয়

৳ 175.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849339717
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৮৮
সংস্কার 1st Published, 2018
দেশ বাংলাদেশ

“টলস্টয়” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
টলস্টয়ের জন্মের পর দেড়শাে বছর অতীত হয় ১৯৭৮ সালে। সেই উপলক্ষে যে জয়ন্তী উৎসব হয়। আমিও তাতে যােগ দিই। অনেকগুলি প্রবন্ধ লিখি। সেসব একত্র করে একখানি বই প্রকাশ করা হচ্ছে। বইখানিতে টলস্টয় সম্পর্কে কিছু পুরনাে লেখাও যাচ্ছে। পরিশিষ্ট থাকছে আমার ষােল বছর বয়সে লেখা টলস্টয়ের একটি উপকথার অনুবাদ। ‘প্রবাসী’তে প্রকাশিত। অমনি করে আমার সাহিত্যিক শিক্ষানবিশী শুরু হয়। টলস্টয়ের কাছেই।
আর একটু বড় হয়ে টলস্টয়ের ‘আনা কারেনিনা’ পড়ি। সম্পূর্ণ অন্যপ্রকার রস। তখন থেকেই আমার মনে টলস্টয়ের কীর্তি ও তত্ত্ব নিয়ে একটা বিতর্ক চলে। তার ‘হােয়াট ইজ আর্ট’ আমাকে দোলা দেয়। কিন্তু আমি তার তত্ত্ব নির্বিবাদে মেনে নিতে পারিনি। প্রশ্নটি অন্য আকারে তুলি রবীন্দ্রনাথের কাছে, রম্য রলার কাছে। নিজের পরীক্ষা নিরীক্ষার আলােয় নিজের পথ দেখতে পাই।

(মার্চ ১৫, ১৯০৪ - অক্টোবর ২৮, ২০০২), একজন স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও লেখক। ভারতের উড়িষ্যা জেলার তার জন্ম। তিনি একজন বিখ্যাত ছড়াকারও। অন্নদাশঙ্করের জন্ম হয় ব্রিটিশ ভারতে বর্তমান উড়িষ্যার ঢেঙ্কানলে । তাঁর পিতা ছিলেন ঢেঙ্কানল রাজস্টেটের কর্মী নিমাইচরণ রায় এবং তাঁর মাতা ছিলেন কটকের প্রসিদ্ধ পালিত বংশের কন্যা হেমনলিনী । ছোটবেলায় ঢেঙ্কানলে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় । ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন । এরপর সংবাদপত্রের সম্পাদনা শিখতে কলকাতা বসুমতী পত্রিকার সম্পাদক হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষের কাছে যান । তিনি শর্টহ্যান্ড, টাইপরাইটিং এবং প্রুফরিডিং-ও শেখেন । কিন্তু এই কাজ তাঁর ভালো লাগেনি । এরপর তিনি কটকের র‌্যাভেনশ কলেজ থেকে আই.এ পরীক্ষা দেন এবং তাতে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন । ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে বি.এ পরীক্ষাতেও তিনি পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম স্থানাধিকারী হন । ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে এম.এ পড়তে পড়তে আই.সি.এস পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয়বারে পূর্ববর্তী রেকর্ড ভেঙে প্রথম স্থান অধিকার করেন । তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে এ গৌরব লাভ করেন। সেই বছরেই তিনি সরকারি খরচে আই.সি.এস হতে ইংল্যান্ড যান । সেখানে তিনি দুই বছর ছিলেন । এই সময়ে তাঁর ধারাবাহিক ভ্রমণ কাহিনী পথে প্রবাসে বিচিত্রায় প্রকাশিত হয় । ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন কন্যা অ্যালিস ভার্জিনিয়া অনফোর্ডকে বিবাহ করে তিনি তাঁর নাম দেন লীলা রায় । লীলা রায় বহু বই বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন । অন্নদাশঙ্করের অনেক লেখা লীলাময় ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়েছিল । ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্রথম নদীয়া জেলার ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে কাজে যোগ দেন । তিনি বছর এই পদে থেকে বিভিন্ন জেলায় কাজ করে কুমিল্লা জেলায় জজ হিসাবে নিযুক্ত হন । ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি সরকারী কাজে নিযুক্ত থেকে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিচার বিভাগের সেক্রেটারি হন । ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্বেচ্ছায় সরকারী চাকরি থেকে অবসর নেন । ২৮ অক্টোবর , ২০০২ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ