বই পরিচিতি:
অপ্সরা বুঝে উঠতে পারছে না, কী বলছে এই মেয়ে! যে মানুষ মৃত, তার সঙ্গে আবার যোগাযোগ থাকবে কীভাবে? অপ্সরার ভেতরে নানা প্রশ্ন তৈরি হওয়া শুরু হয়েছে কিন্তু কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করার সুযোগ হলো না তার। লুমুন নিজে থেকেই বলল, ‘অজির সঙ্গে আমার কথা হয়। রোজই হয়। বলেছে, শিগগিরই আমার সাথে দেখা করতে আসবে। ওর এই চকলেট পছন্দ তো; তাই নিলাম।’
‘অপ্সরা’ চরিত্রের নতুন বই ‘অপ্সরীরী’। আসিফ মেহ্দীর এক অনন্যসাধারণ সৃষ্টি অপ্সরা। এই চরিত্রের প্রথম বই ‘অপ্সরা’ পড়ে অপ্সরার জন্য কাঁদেননি, এমন পাঠক খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। কাহিনির জীবনঘনিষ্ঠতা পাঠকের মন জয় করেছে বলেই বইটি ছিল বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়। অনন্যা থেকে প্রকাশিত ‘অপ্সরা’ চরিত্রের দ্বিতীয় বই ‘অপ্সরার স্পর্শ’ও পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ‘অপ্সরীরী’র জন্য শুভকামনা। ম্যাজিকাল চরিত্রের অধিকারী অপ্সরার বৈচিত্র্যপূর্ণ পথচলা নির্বিঘ্ন হোক-এই প্রত্যাশা করছি।
<ভূমিকা (লেখকের কথা):
কোনোবার এমন হয়নি যে বইমেলা শুরু হয়ে গেছে কিন্তু আমার বইলেখা শেষ হয়নি। এবার হলো! একটি লম্বা-চওড়া অফিসিয়াল ট্রেনিংয়ে থাকায় এ বিলম্ব। এই মুহূর্তে চাপ অনুভব করছি; তবে বেদনাবিধুর নয়, মধুর চাপ। কারণ, এবারে পাঠকবন্ধুদের প্রত্যাশিত অপ্সরা সিরিজের একটি বই উপহার দিতে পারব।
মধ্যবিত্ত পরিবারের এক সহজ-সরল-প্রণোচ্ছ্বল মেয়ে অপ্সরা। বেগুনি রং তার মধ্যে অপরিমেয় আত্মবিশ্বাস ও সাহসের সঞ্চার করে। অপ্সরা হাসলে তার চারপাশের প্রকৃতি ও জীবন হেসে ওঠে আর কাঁদলে কেঁদে ওঠে চতুর্পাশ। জগতের নানা রূপ আর মানুষের বিচিত্র চরিত্রের মাঝে সত্য ও সুন্দরকে আঁকড়ে ধরে অপ্সরার পথচলা।
কোনো পাঠক বা পাঠিকা যদি অপ্সরার মাঝে নিজের প্রিয় মানুষটিকে বা নিজেকে খুঁজে পান, তবেই আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।