“নির্বাচিত ১০০ ভাষণ (২০১৪-২০১৭)” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
‘নির্বাচিত ১০০ ভাষণ’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণগুলাের মধ্য থেকে বাছাই করা ভাষণের সঙ্কলন। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত উল্লেখযােগ্য ভাষণ নিয়ে সঙ্কলনটি সাজানাে হয়েছে। একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনা শুরু করেন। এ নিয়ে তৃতীয়বার এবং টানা দ্বিতীয়বারের মত সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বে এই দুই মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসে কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, অবকাঠামাে উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি দৃশ্যমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তাঁর অদম্য স্পৃহা, কঠোর পরিশ্রম আর সম্মােহনী ব্যক্তিত্ব দিয়ে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বর্তমান পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও শেখ হাসিনা বর্তমানে একটি আলােচিত নাম। সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ও নির্যাতিত রােহিঙ্গা জনগােষ্ঠীকে আশ্রয়দানের যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। বিদেশি সংবাদমাধ্যমে তাঁকে ‘মাদার অব হিউমিনিটি’ বা মানবতার মাতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূরীকরণ, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মােকাবিলা, ক্ষুধার বিরুদ্ধে সংগ্রাম, সর্বজনীন মানবাধিকার ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার ভূমিকা তাকে বিশ্বনেতার মর্যাদায় আসীন করেছে। শেখ হাসিনার সমগ্র চিন্তা-চেতনা জুড়ে রয়েছে স্বদেশ এবং দেশের মানুষ। সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সােনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। তাঁর সকল বক্তৃতা-বিবৃতিতে দেশের মানুষের কল্যাণের বিষয়টি স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রাধান্য পেয়ে থাকে। বক্ষ্যমাণ সঙ্কলনে নির্বাচিত ভাষণগুলােতে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন চিন্তা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শন এবং জনকল্যাণকামী কর্মসূচি বা পরিকল্পনার পরিচয় পাব।