“দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস” বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমােস্ট হ্যাপিনেস পাঠককে নিয়ে যায় পুরান দিল্লি থেকে কাশ্মীরের উপত্যকায় ও এর চতুর্দিক ছাড়িয়ে ভারতবর্ষের বর্তমান ও ইতিহাস ভ্রমণে।
এটা একটি রােমান্টিক উপন্যাস। এই গল্পে ফিসফিস করে কথা আছে, তারস্বরে আছে তেমনি বেদনহীন চোখের জল আছে। অনেক সময় বেদনায় কঠিন হাসিও আছে।
আমাদের পরিচিত মধ্যবিত্ত জীবন তার লেখার এ বিষয় নয়। পাঠককে তিনি দাঁড় করিয়েছেন বাস্তব, এক অস্বস্তির সামনে, লেখক অরুন্ধতী রায় শুরু করেছেন নারীও নয়, পুরুষও নয়, হিজড়া আঞ্জুমের (পূর্বতন নাম আফতাব) জীবনের ঘটনাগুলাে পরপর সাজিয়ে। তিনি মানুষ’ আঞ্জুমের সুখ-দুঃখের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়েছেন।
উপন্যাস আরেক চরিত্র তিলাে-তিলােত্তমা। সামাজিক নিয়মনীতির বাইরে এক বিদ্রোহী- সে সাজে না, চুল বাধে না, সেকেন্ডহ্যান্ড জামা পরে।। আর্কিটেক্ট হয়েও বস্তিতে থাকে। তিলাের একাধিক প্রেমিক, সে নিজে প্রেমে পড়ে এক কাশ্মীরি আন্দোলনকারী মূসার। এই গল্পটি নিয়ে যায় কাশ্মীরে, নাগরিকদের উপর সেনার অত্যাচার ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অন্দরে।
আর আঞ্জুমের কাহিনি নিয়ে পাঠককে পৌছায় গোধারায়, ভারতের রাজনীতির নানা বিষয়ে সাম্প্রদায়িকতা শঠতা ও ভাগ্য তৈরি করার সিঁড়ি বেয়ে তরতর করে ওঠা নানা জনের কথা।