“বিশ্বসেরা ১০০ আবিষ্কার ও আবিষ্কারক” বইয়ের ‘বইটি নিয়ে কিছু কথা’ অংশ থেকে নেয়াঃ
ঠিক কয়েক শ বছর আগে বর্তমান সময়ের চেয়ে মানুষের জীবন ভিন্ন ছিল। মানুষ কোনো স্থানে ভ্রমণ অথবা যোগাযোগ করতে চাইলে হেঁটে বা ঘোড়ার গাড়িতে করে যেতে হতো। মানুষ বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বা বিনা চিকিৎসায় মারা যেত। কিন্তু বিজ্ঞানের অবদানে বর্তমানে গ্রাম-শহর, দেশ এমনকি মহাদেশের সীমানা পেরিয়ে অন্য ব্যক্তি বা দেশের সাথে মুহূর্তের মধ্যে যোগাযোগ করা যায়। উন্নতমানের গাড়ি, রেলগাড়ি, বিমান ইত্যাদি আবিষ্কারের ফলে সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া যায়। আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষ ৯০ এমনকি শত বছর বয়সে সুস্থ থাকতে সক্ষম হচ্ছে। এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই ইত্যাদি উদ্ভাবনের বদৌলতে আজ সহজেই মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশের আলোকচিত্র গ্রহণ করে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে। রেডিও, টেলিভিশন, টেলিফোন, মোবাইল, ইন্টারনেট ইত্যাদির মাধ্যমে বিশ্বের এক স্থানের সংবাদ মুহূর্তের মধ্যে অন্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। তবুও উদ্ভাবনী মন থেমে নেই। স্থলভাগের পর উদ্ভাবনশীল বিজ্ঞানীরা এখন গবেষণা করছেন সাগর, মহাসাগর এমনকি পৃথিবীর বাইরের জগতে কী আছে তা নিয়ে। একটি কথা প্রচলিত আছে, ‘প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক’। প্রয়োজনের জন্যই উদ্ভাবকরা আজ একের পর এক উদ্ভাবন করে চলছেন। তাদের এ প্রচেষ্টা থামার নয়।
উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনের জন্য প্রদত্ত পুরস্কার বা এর মাধ্যমে অর্জিত অর্থ তাদের জন্য একটি উপকারী বিষয়। এ ছাড়া তারা সম্মান ও স্বীকৃতি অর্জন করেন. স্থান দখল করে নেন ইতিহাসের পাতায়। সমগ্র মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ আবিষ্কারক ব্যক্তিত্বের র্যাঙ্কিং করেছেন “বিশ্বসেরা ১০০ আবিষ্কার ও আবিষ্কারক” এই বইয়ে।
পৃথিবীর ইতিহাসে ও মানুষের জীবনে যাদের আবিষ্কারের প্রভাব সবচেয়ে বেশি তাদের মধ্যে ১০০ জন স্থান পেয়েছেন এই তালিকায়। বইটা পড়ে পাঠক অনেক চমৎকৃত হবেন। বইটি আনন্দময় সহজ ও সরল ভাষায় রচিত হয়েছে। বাংলা ভাষায় পাঠরত যেকোনো পাঠকের জ্ঞান অর্জনে বইটি সহায়তা করবে বলে বিশ্বাস করি।