“একাত্তরে লাকসাম” বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা:
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী ক্যাপ্টেন মেহবুবুর রহমান নােয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার বানাবাড়িয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মুস্তাফিজুর রহমান, মাতা লুৎফুন নাহার। বিরল মেধার অধিকারি মেহবুব মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যােগ দেন। তিনি চতুর্থ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টে লেফটেন্যান্ট পদে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তিনি কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিরােধ যুদ্ধে অংশ নেন।
জনাব মেহবুব ছিলেন ২নং সেক্টরের অধীন নির্ভয়পুর সাব-সেক্টর কমান্ডার। তাঁর নেতৃত্বে কুমিল্লার মিয়াবাজারে পাকিস্তানি আর্মি ক্যাম্পসহ সেই এলাকায় একাধিকবার সংঘটিত যুদ্ধ ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। এসব যুদ্ধে অনেক পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। শেষবার ২০ অক্টোবরর মিয়ারবাজার ক্যাম্প আক্রমণে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ২১ জন সৈন্য নিহত হয় এবং বহু সংখ্যক আহত হয়। এর পর পাকিস্তানি বাহিনী এই স্থায়ী ক্যাম্প পরিত্যাগ করে কুমিল্লা চলে যায়। তিনি কমিল্লা জেলার সদর (উ) মহকমার অংশ, সদর (দ.) মহকুমা এবং তৎকালীন চাঁদপুর মহকুমার সকল থানা গুলােতে গেরিলা যুদ্ধের পরিচালনা ও নেতৃত্ব দেন। যুদ্ধকালীন সময়েই জনাব মেহবুব ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমান হত্যার ঘটনার পর এ অকুতােভয় সৈনিক নিহত হন।