নারী বিষয়ক যেকোনাে লেখা, যেকোনাে ভাবনাই অশ্নীল লাগে অনেকের কাছে। পিরিয়ড অশ্লীল, ব্রার ফিতা অশ্নীল, জরায়ু অশ্লীল, সন্তান জন্মদান অশ্লীল, যৌনতা অশ্লীল – এককথায় নারীর শরীরই অশ্নীল। কারণ নারী মানুষ নয় সেক্স অবজেক্ট। এই কথাগুলাে বললে, লিখলে – বলা হবে, আসছেন। আরেক তসলিমা নাসরিন! পুরুষের মতাে এসব শুনে অনেক নারীও মুখে কাপড় দিয়ে লজ্জা ঢাকেন। যারা এসব কথা বলেন, ট্যাবু ভাঙতে চান নব্বই এর দশকে তসলিমাকে যে চোখে দেখা হতাে, প্রায় দুই। দশক পেরিয়ে এসে তাদেরকে সেই একই চোখে দেখা হবে। যত যা কিছুই হােক বৈপ্লবিক কথাবার্তা আর আচরণ বা জীবনযাপন এখানে সহ্য করা হয় । আপনি নারীবাদ যদি জীবনে চর্চা করেন অথবা মানবতাবাদ আপনাকে অবিরাম ক্রিটিসাইজ করা। হবে। সমাজ সইয়ে সইয়ে, মিষ্টি করে বলে বলে। আপনাকে সমাজ পাল্টানাের সবক দেওয়া হবে। ইউরােপের মেয়েদের মতাে ঋতুস্রাবের রক্ত। পাবলিকলি ছিটিয়ে আপনি বলতে পারবেন না, সি,। দিজ ইজ মাই ব্লাড, দিজ ইজ নট আনহােলি। (অশ্নীলতার দোষে দুষ্ট হবেন)। আপনি বলতে পারবেন না, আমার শরীর আমি বুঝবাে, সেক্স করবাে কি করবাে না বা কার সাথে করবাে বা করবাে না (পরকীয়া’কে উৎসাহিত করছেন বলা। হবে)। বলতে পারবেন না, আমার শরীর বাচ্চা। উৎপাদনের যন্ত্র নয় (মানবসৃষ্টি প্রক্রিয়াকে ব্যহত করছেন বলা হবে)। আর এসব বিষমাখা তীর কারা ছুঁড়বে আপনার দিকে? শুধু পুরুষ? মােটেই না, পুরুষতন্ত্রের তৈরি পুরুষ চেহারার নারীরাও।