“দি মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
‘দি মিনিস্ট্রি অব আটমােস্ট হ্যাপিনেস’ আমাদের বহু বছরের যাত্রায় নিয়ে যায়- কাহিনিটি নাটাইয়ের সুতা ছাড়তে থাকে পুরানাে দিল্লির বদ্ধ উপকণ্ঠ থেকে গড়ে উঠতে থাকা নতুন নগরীতে, কাশ্মীর উপত্যকায় এবং মধ্য ভারতের গভীর অরণ্যে, যেখানে যুদ্ধই শান্তি আর শান্তিই যুদ্ধ এবং যেখানে সময়ে সময়ে স্বাভাবিক অবস্থা ঘােষণা করা হয়।
আনজুম, এক সময় যে ছিল আফতাব, নগরীর একটি গােরস্তানে একটি জীর্ণ গালিচা বিছিয়ে সেটিকে তার বাড়ি বলে ঘােষণা করে। মাঝরাতের একটু পরে বেশ হঠাৎ করেই এক শিশুর আবির্ভাব ঘটে একটি চাতালে, জঞ্জালের এক শিশুশয্যায়। হেঁয়ালিপনায় ভরা এক দুর্বোধ্য চরিত্র এস. তিলােত্তমা। তিনজন পুরুষ তাকে ভালােবাসে, যাদের কাছে সে যেমন অস্তিত্বমান তেমনি আবার অস্তিত্বহীনও।
দি মিনিস্ট্রি অব আটমােস্ট হ্যাপিনেস একই সঙ্গে এক বেদনাময় প্রেমকাহিনি এবং এক চূড়ান্ত প্রতিবাদ। চুপিচুপি ফিসফিসিয়ে বলা হয়েছে কাহিনিটি, বলা হয়েছে চিৎকার করেও; চোখের জল ঝরিয়ে এবং কখনাে কখনাে নির্মল হাসির মুক্তা ছড়িয়েও। যে জগৎটিতে এই কাহিনির নায়কেরা বাস করে তার নির্মম জাগতিকতায় ভেঙে ভেঙে তারা বিধ্বস্ত হয় এবং তারপর তারা উদ্ধার পায়, সংশােধিত হয় প্রেমের ছোয়ায় এবং প্রত্যাশায়। আর এই জন্যই তারা যেমন ইস্পাতদৃঢ়, তেমনি আবার ভঙ্গুরও এবং তারা কখনাে বশ্যতা স্বীকার করে না। এই সুখপাঠ্য, চমৎকার বইটি পুনরাবিষ্কারের ব্যাপ্তি ছড়িয়েছে ততটুকুই একটি উপন্যাসের পক্ষে যতটুকু সম্ভব। আর এর প্রতিটি পাতায় ভাস্বর হয়ে উঠেছে অরুন্ধতী রায়ের গল্প বলার জাদুকরি নৈপুণ্য।