“পাকপাঞ্জাতনের মহীমা” বইয়ের সম্পাদকের কথা:
বিশ্বজগতের রহস্য এবং এর প্রকাশ-বিকাশবিজ্ঞান বােঝার উপায়-জ্ঞানী হওয়া; জ্ঞানীগণই শুধু পবিত্র। আর নিজেকে চেনার যে বিজ্ঞান তাই হচ্ছে পবিত্র হওয়ার পথ। কোরান মতে পবিত্রগণ হচ্ছেন পাক-পাঞ্জাতন, মুহাম্মদ (সা.), আলে মুহাম্মদগণ। ইতিহাস আর হাদিসের উপর নির্ভরতা দিয়ে পাক-পাঞ্জাতনের শান-মান বােঝার চেষ্টা হবে ব্যর্থ চেষ্টা। নদীতে চাঁদ যেমন ধরা যায়না, ইতিহাস আর হাদিস দিয়ে পবিত্রগণদের স্পর্শকরা সম্ভব না। তাদের বােঝার জন্য দুরকার নিঃস্বার্থ প্রেমসম্পূর্ণ নির্ভরতা। পাক-পাঞ্জাতনের মহিমা বা গুরুত্ব আমার মতাে মূর্খের পক্ষে বর্ণনা করা একেবারেই অসম্ভব। তারপরও এই সংকলনের দুঃসাহস করার চেষ্টা শুধুই অনুসন্ধিৎসু মনের খেয়াল। আর সাহস যতটুকু তার সবটুকুই মাওলা মুর্শিদের কৃপা দৃষ্টির কারণে। তবে যতটুকু দেখেছি এবং বুঝেছি তা বেশ স্পষ্টই। আমাদের এই সংকলনের। সবকটি লেখা আগেই বিভিন্ন পুস্তক-পুস্তিকায় প্রকাশ হয়েছে; যা মাওলা মুর্শিদ সুফি সদর উদ্দিন আহমদ চিশতীর অনূদিত। বইটির বিশেষ প্রভাব, উপকার এবং কার্যকারিতা না বললেই নয়। প্রতিদিন পাঠ করলে আপনার দেহ-মনের সমস্ত পঙ্কিলতা এবং ইহা জাগতিক ও পরজাগতিক সমস্যার সমাধান পাবেন। বুঝে পাঠ করলে আধ্যাত্মিকভাবে এতটাই উন্নতি করা সম্ভব যে, এই দেহ ত্যাগ করার পর উন্নত জীবন লাভ করা নিশ্চিত। সত্যসন্ধানী ব্যক্তির জন্য এই প্রকাশনাটি দিকনির্দেশনাও বটে।