ভাষার উচ্চাভিলাষী মাতম নয়, ঋজুভঙ্গি আর গতিময়তাই প্রবন্ধগুলোর প্রাণ। উপলব্ধির স্বচ্ছতায় বোধের উন্মীলন অনেক বেশি সরল রৈখিক। কানাগলির দুরন্ত ঘেরাটোপে আটকে থাকেনি স্বরের বহুমাত্রিকতা। বক্তব্যের স্তরে স্তরে স্বাতিন্ত্রিক উন্মোচন। দৃশ্যমান নতুন আলোকরেখা। দুই বাংলার প্রতিনিধিত্বশীল কবি ও ঔপন্যাসিকদের নিয়ে লেখা এসব প্রবন্ধে জুনান নাশিতের বক্তব্য সাবলীল ও প্রাঞ্জল। ভাষায় পরিমিতিবোধ সুস্পষ্ট। জুনানের বক্তব্য, বোধ বেপথু নয়, বরং ভাবনামুখী।