শেখ রাসেল এর কান্না শুনে অসহায় চোখে সেল্টিপােস্টের দিকে তাকিয়ে থাকে মহিতুল। গেটের ওপাশে ওয়্যারলেসে কার সাথে যেন কথা বলছে মেজর আজিজ পাশা। কান্না শুনে সেল্টিপােস্টের কাছে এসে ল্যান্সারের একজন। হাবিলদারকে ধমকের সুরে বলে, বাচ্চাটা কান্নাকাটি করছে শুনতে পাচ্ছ না? জ্বী স্যার! ওর কান্না থামাও। কান্না তাে থামছে না স্যার। তুমি কি ঠসা নাকি? জ্বী না স্যার। শুনছাে না, বাচ্চাটা আম্মা আম্মা বলে কান্না করছে। ওকে তার আম্মার কাছে নিয়ে যাও। তাহলে কান্না থেমে যাবে। আমি এক্ষুনি ওকে আম্মার কাছে নিয়ে যাচ্ছি স্যার। হাবিলদার এসে হাত ধরে রাসেলের। চলাে আমাকে মারবেন না তাে?
মারবাে না। শুনলে না স্যার কী বললেন? বাচ্চাটাকে আম্মার কাছে নিয়ে যাও। আমাকে সত্যি আম্মার কাছে নিয়ে যাবেন? সত্যি নিয়ে যাব। কান্না থেমে যায় রাসেলের। তবু হেঁচকি উঠতে থাকে। হাবিলদার শক্ত মুঠোয় ওর নরম-কব্জি চেপে ধরে এগিয়ে যেতে থাকে বাড়ির দিকে।