এ গল্প কোন মানবের নয়

৳ 70.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
988914812122
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৩২
সংস্কার 1st Published, 2018
দেশ বাংলাদেশ

“এ গল্প কোন মানবের নয়” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
মেয়েটি ছিল ধনীর দুলালিনী। সােনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নিয়েছিল। সে। বাপের ঘরে কোনকিছুরই অভাব হয়নি তার। হরেক রকম খাবার আর ফলমূলাদিতে ভরা থাকত তাদের দস্তরখান। কোনকিছুতে তার ধরাছোঁয়া করতে হতােনা। যখন সে সতেরাে বছর বয়সে পা রাখল, যৌবন যেন তার উপছে পড়তে শুরু করল! যেমন ছিল সে অনিন্দ্যসুন্দরী; তেমন ছিল সে বুদ্ধিমতি। জ্ঞানী-গুণবতী ও শিক্ষিতা। কিন্তু এই মেয়েরই বিয়ে হয়েছিল একটি হাড়কিপ্টে পরিবারে। পরিবারে বাস করত মানুষ নামের কতগুলাে অমানুষ! অমানুষগুলাের অবর্ণনীয় নির্যাতনে প্রতিদিন শুধু চোখের পানিতে বালিশ ভেজাততা। বেশি কষ্ট দিত স্বামীর বিয়েবঞ্চিতা, চামড়াকুঞ্চিতা বুড়ি ফুফুটা! বুড়িটা কোমলমতি মেয়েটার জন্য ছিল সাক্ষাত ডাইনি! পিশাচিনী! কান্নাই ছিল মেয়েটির একান্ত আপন। নিজ বাপ-মাকেও কিছু বলার সুযােগ পেতােনা। বুকের কষ্ট বুকেই চাপা দিয়ে রাখত। দশমাসের সন্তানসম্ভবা অবস্থায়ই তাকে অমানুষগুলাে ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল! মামলা করেও বিচার পায়নি মেয়েটি! কিন্তু মেয়েটির বাবা। আল্লাহর আদালতে মামলা টুকে দিলেন। ফলে জালিম স্বামীর পরিবারের। অমানুষগুলাের কী যে একটা পরিণতি হয়েছিল, তা ভাবতেই ভয়ে গা শিউরে উঠে! হ্যাঁ, এরকম একটি শিক্ষণীয় ও লােমহর্ষক কাহিনী দিয়ে সাজিয়েছেন শাইখ আলী তানতাবী রহ. তাঁর কিসসাতুন কামিলাতুন লাম মুআল্লিফহা বাশার’ নামক ছােট্ট কিতাবটি। সে কিতাবেরই অনুবাদ “এ গল্প কোন মানবের নয়”।

বিংশ শতাব্দীর এক সমাজচিন্তক দার্শনিক ড. শায়খ আলী তানতাবী। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে সিরিয়ার দামেশক নগরীতে তাঁর জন্ম। পৈত্রিক আবাস মিসরের তানতা শহর হওয়ায় তানতাবী নামেই তিনি সমধিক পরিচিত। ছাত্রজীবনেই তুখােড় মেধার কারণে তিনি গবেষক শিক্ষকগণের দৃষ্টি কাড়েন। সেকালে গবেষণা ও জ্ঞানসাধনায় তার পারিবারিক ঐতিহ্য ছিল ঈর্ষণীয়। সেই পরিবারেই তিনি ইসলামি ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করে ঐতিহ্যের তিলকে সােনার প্রলেপ আঁটেন। সতেরাে বছর বয়স। থেকেই বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর গবেষণামূলক প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও গল্প প্রকাশ হতে থাকে। ১৯৩৬ সালে সাম্রাজ্যবাদীদের জুলুম ও শােষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তিনি ইরাক গমন করেন। সুদীর্ঘ পাঁচ বছর পর দামেশকে ফিরে এসে বিচারক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে যােগ্যতার সিঁড়ি বেয়ে তিনি প্রধান বিচারপতির আসন অলঙ্কৃত করেন। আর লেখালেখি! সে তাে তার নেশা। এ নেশা তার মজ্জার সাথে মিশা। একটু সময় পেলেই এ চিন্তাবিদ কাগজ কলম হাতে লিখতে বসে যেতেন। তাঁর জ্ঞানের নিগুঢ় চশমায় ধরা পড়ে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘাপটি মেরে থাকা অসঙ্গতির কালাে পাহাড়। সেই অমানিশা দূর করতে তিনি। জ্বালান নানান রঙের জ্ঞানের মশাল। সেই আলােয় বিদুরিত হয় শত প্রকারের। আঁধার-অজ্ঞানতা; সম্বিৎ ফিরে পায়। হতাশাচ্ছন্ন জাতি। গবেষণামূলক লেখালেখির খ্যাতির মধ্য দিয়ে তিনি মক্কা মােকাররমা শরিয়া কলেজের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। বিভিন্ন মিডিয়ায় যুগ-জিজ্ঞাসার সমাধানমূলক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। পাশাপাশি নিয়মিত পত্র-পত্রিকায় কলাম লেখা, বিষয়ভিত্তিক গ্রন্থ প্রণয়ন আর বিভিন্ন মাদরাসা-কলেজে দরসদানও চলতে থাকে সমান গতিতে। ১৯৯৯ সালে ৯০ বছর বয়সে এ শায়খ মক্কা নগরীতে ইন্তেকাল করেন।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ