“যে হাল ছেড়ে দেয়, সে-ই পরাজিত জয়ী তো আর বাকি সবাই।” ৭০০ বছর ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকার পর পাওয়া গেল সেই বিশেষ পাণ্ডুলিপি, যার মাধ্যমে জানা গেল প্রাচীন এক শহরের শেষ কটি মুহূর্ত আর শহরটির অধিবাসীদের জন্য অসাধারণ এক মানুষের দেওয়া হিরন্ময় কিছু দিক-নির্দেশনা। অনেক অনেক কাল আগে, জেরুজালেমে বহিরাক্রমণের ঠিক আগের মুহূর্তে শহরটির অস্থির ও শঙ্কিত লোকজন একটি নির্দিষ্ট স্থানে জমায়েত হয়েছিল। ঠিক সেই সময় সেই মানুষটি তাদের সামনে দাঁড়িয়ে জানতে চাইলেন তাদের মনের কথা, তাদের আবেগ-অনুভূতি, শঙ্কা, ভীতি সবকিছুর কথা, যাতে করে তিনি তাদেরকে দিতে পারেন স্বস্তি, শোনাতে পারেন আশার বাণী। তারপর তিনি সবার সাথে ভাগ করে নিলেন তার অন্তর্জ্ঞানকে – ভালবাসা, সাহস, একাকিত্ব, আনুগত্য ও লাভ-ক্ষতি, জয়-পরাজয় নিয়ে শোনালেন তার অমর বাণী। এক কথায়, এমন কিছু জীবনদর্শন তিনি দিয়েছেন, এমন কিছু মূল্যবান কথা তিনি বলেছেন, যা বইটির পাঠককে প্রখর জীবনবোধে করবে উদ্দীপ্ত, দেবে চিন্তার খোরাক ও নতুন পথের সন্ধান। বর্তমান সময়ে পাওলো কোয়েলহোর সবচেয়ে আলোচিত ও বহুল পঠিত বইগুলোর একটি। লেখকের ভক্তদের জন্য অবশ্য পাঠ্য একটি বই।