“জারিফের স্কুল” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
খুব ইচ্ছে করে, কথকতার জাল বুনে ছােটদের চোখে স্বপ্নের কাজল পরিয়ে দিতে। সেই যে সুতাে ছিড়ে যাওয়া ঘুড়ির পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে গুইসাপ দেখে থমকে দাড়ানাে, তারপর ফোস ফোস শব্দে তার লেজ নাড়ানাের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জিভ বের করে আমার ভেঙচি কাটা, ফড়িংয়ের পেছনে চৈত্রের একটা দুপুর পার করে। বাঁশ গাছের চিকন পাতায় বাতাসের সো সো শব্দে চমকে ওঠা, বিলের পানিতে বঁড়শি ফেলে ধৈর্যের পরীক্ষায় মাছরাঙাকে হারিয়ে দেয়া অথবা হঠাৎ কিলবিল করে ওঠা মনের খেয়ালে ‘ধুর ছাই বলে সেই বিলের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়া- চাইলেই কি ভুলে যাওয়া যায়? যমুনার পাড় ধরে হাঁটা, বর্ষা এলেই নৌকায় জলভােজন (বনে বনভােজনের মতাে), বৃষ্টি এলে বাতাবিলেবুর ফুটবল- এ তাে আমার একার আনন্দ নয়। ছেলেবেলাটাকে কিছুতেই ভুলে থাকা যায় না। যদিও সে হারিয়েছে চিরতরে। কত গল্পই না শুনেছি বাবার পাশে শুয়ে । সেই গল্পগুলাে আমিও শােনাতে চাই। তাই তাে আমাকে লিখতে হচ্ছে। আমি লিখছি তােমাদের জন্য।