“সোনার হরফে লেখা” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন- নবীজির চাইতে সুন্দর আমি কোনো কিছু দেখিনি। যেন সূর্য তাঁর বদনখানিতে সাঁতরে বেড়াত। যখন তিনি হাসতেন তাঁর হাসির আলো দেয়ালে ছড়িয়ে পড়তো। একবার এক ব্যক্তি হযরত জাবের ইবনে সামুরা রা. কে প্রশ্ন করেছিল- নবীজির মুখখানি কি দেখতে তরবারীর মতো ছিল? বললেন- না, চাঁদ এবং সূর্যের মতো ছিল। হযরত উম্মে মা‘বাদ একজন মহিলা সাহাবী। নবীজির রূপ ও সৌন্দর্যের দীর্ঘ বর্ণনার পর বলেছেন- নবীজি … দুর থেকে তাকালে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দর মানুষ আর কাছে থেকে দেখলে শ্রেষ্ঠ রূপময় এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মধুময়। ইবনু আবি হালা বলেছেন- তাঁর বদনখানি পূর্ণিমার রাতের চাঁদের মতো ঝলমল করত। আর হযরত আলী রা. বলেছেন আরও মিষ্টি করে। বলেছেন- নবীজিকে হঠাৎ কেউ দেখলে ভয় পেয়ে যেত। আবার তাঁকে চেনার পর মেলামেশা করলে তাঁর জন্যে আকুল হয়ে যেত। যেই তাঁর বর্ণনা দিয়েছে সেই বলেছে- তাঁর মতো তাঁর আগেও কাউকে দেখিনি পরেও কাউকে দেখিনি। [কাজী ইয়ায রহ., আশশিফা- ৪৭-৪৮পৃ] মাথার চুল তাঁর অতি কোকড়ানো ছিল না, ছিল না অতি সরল। ছিল ঈষৎ কোকড়ানো। গায়ের রং ছিল দুধে আলতা মেশানো। কপালখানা ছিল প্রশস্ত। কাধ বিশাল ছিল। বুক ও পেট ছিল সরল রেখায় প্রতিষ্ঠিত। অতি দীর্ঘ ছিল না। হাসলে দাঁত থেকে বেরিয়ে আসা নূর চোখে পড়ত। গ্রীবাখানি ছিল অতুলনীয় সুন্দর।