“হুজুরের বউ” বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
যান্ত্রিকতার এই যন্ত্রমুখর শহরে সবাই আজ আমরা যন্ত্রমানব, সম্পর্ক গুলাে যেন যন্ত্রের ন্যায় পরিচালিত। যন্ত্রেই সম্পর্ক শুরু ও শেষ। ফেসবুক ওয়াটস্অ্যাপেই সম্পর্কগুলাের উত্থান-পতন। যে কারণেই ভেঙ্গে যাচ্ছে কত সংসার সে দিকে কারাে নজরদারির সময় কোথায়? এই শহরে নারী আজ বিচিত্র ভূমিকায় পণ্য। কেউ ব্যবহার করছে বিজ্ঞাপনে, কেউ বা স্টেজে হাঁটিয়ে। আবার কেউ বা নারী শরীর প্রদর্শনীতে বানিজ্যে রয়েছে মতােয়ারা। এমনই নাজুক সমাজে বাস করে হাজারাে অশ্লীলতার ভীড়ে যে সব নারীমন নিজেকে চিনতে পারবে সেই তাে খােদাভীরু পবিত্র। কেন নারী সৃষ্ট এ ধরায়? পৃথিবীর শুরু লগ্ন থেকে আজদ্বি কারা দিয়েছে নারীর ন্যায্য অধিকার? প্রচলিত কুমতলবকী নারীবাদীরা কি কখনাে দিয়েছে নারীকে তার ন্যায্য অধিকার? নাকি নারীকে দাবি আদায়ের নামে রাজপথে নামিয়ে ছিনিয়ে নিয়েছে তার সর্ব? নারীবাদীরা সম-অধিকারের মূল্যহীন নেশায় চিক্কার করে চলেছে আজ,অথচ চৌদ্দশ বছর আগে যখন নারীদেরকে মানুষই মনে করা হতো না তখন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব আলাের মশাল হাতে মানবকুলকে জানিয়েছেন নারী সম্মানের ব্যপারে। মানুষের দ্বারে দ্বারে স্পস্ট করেছেন নারীর অগ্রাধিকারের বিষয়। ইসলাম নারীকে দিয়েছে অগ্রাধিকার অথচ কু-রুচির বহিঃপ্রকাশে অগ্রাধিকারী নারীদের আজ অগ্রাধিকারে অরুচি। কুরআন বিহীন সমাজ ব্যবস্থায় পাচ্ছে কি তারা নিজেদের কাঙ্খিত সম-অধিকর, এমন সমাজের মেয়েরা কতটুকু সুখে আছে নিজের স্বামী সংসার নিয়ে? পারছে কি তারা সাংসারিক হতে? অস্তিত্ব হারাচ্ছে না তাে তাদের সংসার গুলাে? এমনই প্রশ্নগুলাের সাথে আরাে অনেক প্রশ্ন সংযােজনের উত্তর মিলবে বইটি তে।