“ঝিলাম নদীর দেশ” বইয়ের কথাঃ কাশ্মীর নামের যে ভূখন্ডকে একসময় ভূস্বর্গ নামে অভিহিত করা হত, কার্যত তা এখন ভারতের অংশ। বাকীটুকু, যার নাম আযাদ কাশ্মীর, পাকিস্তানের অংশ হতে আগ্রহী কিনা, না জেনেই বলা যায়, সব বিচারেই কাশ্মীর এখন পরাধীন। এ-কাহিনী পরাধীন-কাশ্মীরের ভারত-অংশের ভ্রমণ বৃত্তান্ত। বুলবুল সরওয়ার যখন এই ভ্রমণ-কাহিনী লিখেছেন, তখন তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র। দর্শনে অনাগ্রহী পর্যটক লিখতে চেয়েছিলেন একটি পথভ্রমণ। কিন্তু তার ৩টি গল্প, ১০টি কাব্য, ১টি উপন্যাস আর ৬টি কিশোর-রচনা ছাড়িয়ে ‘ঝিলাম’ হয়ে উঠেছে বাংলা সাহিত্যের রোমান্টিক ক্ল্যাসিক। স্বাদু গদ্যে লেখা ঝিলাম এখন আর শুধু স্রোত নয়, প্রেম ও ইতিহাসের এক দায়বদ্ধতাও বটে। ১৯৯০এ প্রথম প্রকাশ পাবার পর বইটির ৫০টি মূদ্রণ নি:শ্বেষিত হয়েছে। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এ-এক অলৌকিক ঘটনা। ঢাক-ঢোল ছাড়াই ঝিলামের এই অজগরীয় পথ-চলা এবার ৫১য় পা দিল। কিমাশ্চর্যম!
“ইস্তাম্বুল” বইয়ের কথাঃ আনাতোলিয়া। এশিয়া মাইনর। তুরস্ক। কত নামেই না তাকে ডাকা যায়। অথচ নামের চেয়ে উজ্জ্বল তার রাজধানীÑইস্তাম্বুল! বাইজেন্টিয়াম। কনস্টান্টিনোপল্স। তারও কত বিশেষণ। দুটি মহাদেশ, দুটি সমুদ্র, দুটি ধর্ম, দুটি সংস্কৃতির অত্যুজ্জ্বল নগরী। পরতে পরতে যার রূপ-রহস্য আর অপরূপার রোশনী। ছ’শো বছরের ওসমানী খিলাফত আর ইব্রাহিম থেকে শুরু করে আতাতুর্কের জানা-অজানা কত না গল্পে ভরপুর ওরিয়েন্ট-এক্সপ্রেস। হেলেন থেকে জাজা-গাবর পর্যন্ত কত নায়ীকার পদচারণায় ধন্য সে দেশ; সেই যাদুনগরী! এ-শুধু ভ্রমণ নয়, ইতিহাস; পাঠ নয়, সমৃদ্ধি। সাহিত্যের জন্য তো বটেই, আত্মার প্রশান্তির জন্যও এক আকর গ্রন্থ।