স্থাবর-অস্থাবর যাবতীয় সম্পদ মূলত মহান রব্বুল আলামীনের। তিনি ক্ষণিকের জন্য মানুষকে এ সম্পদের প্রতিনিধি করেছেন মাত্র। কোনো সম্পত্তিতে কারো প্রতিনিধিত্বকাল শেষ হলে তা অন্যের প্রতিনিধিত্বে চলে যায়। এভাবেই চলে পালাবদলের খেলা। সম্পদের মালিকানা বংশ পরম্পরায় হাতবদলের ইসলামী পদ্ধতির নাম ‘ইলমুল ফারায়েয’।
আর মালের মূল মালিক সর্বজ্ঞ-প্রজ্ঞাময় মহান আল্লাহ নিজে তা বণ্টনের নীতি বাৎলে দিয়েছেন। সেজন্য এই বণ্টননীতিতে সামান্য পরিমাণ বেইনছাফী থাকার কোনো সম্ভাবনাই নেই; বরং এর পুরোটা জুড়েই রয়েছে ইনছাফ, প্রজ্ঞা ও দয়া। প্রতিটি মুসলিমকে এই ইলাহী বণ্টননীতি মেনেই উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টনকার্য সম্পন্ন করতে হয়, যার কোনো বিকল্প নেই। এ বণ্টননীতি ছাড়া মুসলিমরা একদিনও চলতে পারে না।
মহান আল্লাহ ইসলামের চার চারটি রুকন ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ ও যাকাতের এতোটা বিশদ বিবরণ পবিত্র কুরআনে দেননি, অথচ উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টননীতির বিশদ বিবরণ তিনি পবিত্র কুরআনে দিয়েছেন (দ্রষ্টব্য: আন-নিসা, ৪/১১, ১২ ও ১৭৬)। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে, ‘ইলমুল ফারায়েয’ বা উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টন সম্পর্কিত জ্ঞান কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
সেকারণে বাংলার আলেমগণ প্রাচীনকাল থেকে অদ্যাবধি এ জ্ঞান চর্চা করে আসছেন এবং সেই আলোকে সম্পত্তি বণ্টনকার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে আসছে। আমাদের দেশের ক্বওমী ও আলিয়া দুই ঘরানার সিলেবাসেই এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুগ যুগ ধরে উলামায়ে কেরাম বাংলা ভাষায় এ সম্পর্কিত লেখনী উপহার দিয়ে আসছেন। এর সাথে যুক্ত হলো আরো একটি মূল্যবান লেখনী, যার নাম ‘কিতাবুল ফারায়েয’।