“রিবা, সুদ ও আধুনিক ব্যাংকিং” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
সুদ এবং সুদমুক্ত আর্থিক লেনদেন ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি উদ্বিগ্নতার বিষয়। পবিত্র কুরআন যে আর্থিক লেনদেন বিষয়ে শাস্তির ভয় দেখিয়েছে, সে প্রথা ও পদ্ধতির নাম ‘রিবা’ । রিবা শব্দের ইংরেজি Interest, Profit and Usury এবং বাংলা, উর্দু ও ফারসি ভাষায় ‘সুদ’ এক ও অভিন্ন অর্থ কিনা- এ বিষয়ে বিস্তর মতপার্থক্য বিদ্যমান। এ বিষয়ে তেমনি একটি পান্ডিত্যপূর্ণ বিতর্ক বিচারপতি কাদীর উদ্দিন। আহমাদের ‘রিবা কী’ নামক রচনাটির মধ্যে রয়েছে। অনুরূপভাবে সনাতনী ব্যাংক ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে। ইসলামি ব্যাংকিং এক ধরনের বাস্তবতা যেমন বিদ্যমান, তেমনি রয়েছে নানারূপ সংশয়। এ বিষয়ে মিশরের আল আজহারের গ্রান্ড মুফতির একটি ফতােয়া এবং পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় সংযুক্ত করা হয়েছে। যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ, অর্থ ও ব্যাংক ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও ইসলামি ফেকাহ শাস্ত্রের পণ্ডিতদের চিন্তার ক্ষেত্রে কিছু নতুন উপাদান সরবরাহ করে এ বিষয়ের গবেষণা কাজকে অধিকতর সমৃদ্ধ করতে কিছুটা সহায়ক হতে পারে।