“মুক্তিযুদ্ধে যশোর” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
মুক্তিযুদ্ধে যশাের গ্রন্থে বিধৃত ঘটনা প্রবাহ লেখক রুকুনউদ্দৌলাহ’র রচনা শৈলীতে জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠেছে। বইখানি যখন এই প্রজন্মের হাতে যাবে তখন তারা স্বদেশ প্রেমে আলােড়িত হবে, সহজেই অনুধাবন করবে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসর। এদেশীয় রাজাকার আলবদররা কী মানবতা বিরােধী কাজটাই না করেছিল। তাদের প্রতি চরম ঘৃণার উদ্রেক হবে। আর সেদিনের যারা অত্যাচারিত নির্যাতিত মানুষ এবং যারা এর প্রত্যক্ষদর্শী, আজো জীবিত আছেন, তারা নতুন করে শিহরিত হবেন।
দীর্ঘদিন গত হলেও বাঙালি জাতির ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ইতিহাসের সেই নির্মম কাহিনী, স্বাধীনতার জন্য শত্রুর বিরুদ্ধে নিরস্ত্র মুক্তিকামী মানুষের নজীরবিহীন বিরত্বপূর্ণ লড়াই প্রভৃতির ঘটনা পাঠক সমাদৃত করে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে এই কারণে যে, লেখক নিজেই একজন মুক্তিযােদ্ধা। তিনি ঔপনিবেশিক শাসন-শােষণ, অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার মানুষের ব্যথায় প্রত্যক্ষভাবে সমব্যথী। যার ঘা বেদনা তিনি নিজেই বােঝেন। ‘কী যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে, কভু আশিবিষে দংশেনি যারে’ রুকুনউদ্দৌলাহ তাে দংশিত মানুষ। তিনি বিষের যাতনা বােঝেন বলেই কষ্টটা অন্যকে বােঝাতে সক্ষম হয়েছেন।
লেখক রুকুনউদ্দৌলাহ তার মুক্তিযুদ্ধে যশাের গ্রন্থটিকে ইতিহাস বলেননি; বলেছেন ইতিহাস বেত্তাদের ইতিহাস রচনা ও গবেষকদের গবেষণার কাজে সহায়ক হবে। তবু নির্দ্বিধায় বলা যায় বইখানি অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস। অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিক হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। তার সেই অনুসন্ধিৎসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন এই বইয়ে ।