একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি তথা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্বর্ণোজ্জল অধ্যায়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং স্থানীয় দোসর আল-বদর, আল-শামস আর রাজাকারদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে যুদ্ধ করেছেন বাংলার আপামর সাধারণ মানুষ। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক মুক্তিযােদ্ধার ত্যাগ অনস্বীকার্য। তাঁরা জীবন-সংসারের মায়াকে দূরে ঠেলে পরিবারপরিজনকে ফেলে রেখে সগ্রামের পথ বেছে নিয়েছিলেন। তাঁদের সেই সংগ্রাম বৃথা যায়নি; বৃথা যায়নি তাঁদের স্বাধীন-সার্বভৌম একটি দেশবাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন। তাঁদের স্বপ্নের পথেই উদিত হয়েছে স্বাধীনতার সূর্য। আর আমরা পেয়েছি পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন একটি দেশ স্বাধীন বাংলাদেশ। দেশের জন্য আত্মত্যাগী সকল বীর শহিদদের মাঝেই অনন্য মর্যাদায় আসীন হয়ে আছেন আমাদের বীরশ্রেষ্ঠগণ। মুক্তিযুদ্ধে অপরিসীম বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য সাতজন মুক্তিযােদ্ধাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বীরত্বের খেতাব- বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি প্রদান করা হয়। তাদের অসামান্য এই অবদানের জন্য ইতিহাসের পাতায় অম্লান হয়ে থাকবেন চিরকাল।