সিরাজী ভাই বললেন, অস্ত্র জমা দিয়েছি ট্রেনিং জমা দেইনি।
কথাটা কোথায় যেন শােনা শােনা মনে হয়। এই এক সমস্যা সিরাজী ভাইয়ের, সব কথাই শােনা শােনা মনে হয়, কিন্তু কোথায় শুনেছে সেটা তখনই কেউ মনে করতে পারে না। মনে হয় এমন সময় যখন তিনি থাকেন না।
আজ শান্তর মনে পড়ে গেল। বলল, সিরাজী ভাই দিলেন তাে একটা ডায়লগ মেরে।
ডায়লগ মারলাম কোথায়?
এটা একটা সিনেমার ডায়লগ।
সিনেমা! তুই সিনেমা দেখিস? বদমাশ কোথাকার।
সিনেমা কি শুধু বদমাশরা দেখে! ইমরান শান্তর পক্ষে দাঁড়ায়।
সিরাজী ভাই একটু ভড়কে গিয়ে বলেন, না। তা না। সিনেমা কখনও কখনও জীবনের প্রতিচ্ছবি। কিছু কিছু সিনেমা তাে আছে। ধর দেখলে তােদের মনে হবে যে এটা তােরই জীবন। নায়ককে মনে হবে তােরই পাশের বাড়ির কেউ। নায়িকাকে মনে হবে বড় বােন।
বড় বােন মনে না হয়ে অন্য কিছু মনে হতে পারে? শান্ত এমনভাবে জিজ্ঞেস করে যেন এরচেয়ে নির্দোষ প্রশ্ন আর হতে পারে না।
তা হতেই পারে। কোন একটা সিনেমায় তাে নায়িকাকে দেখে মনে হল যেন মা। একেবারে মায়ের ছবি। না। মানে মা-বােন ছাড়া অন্য কিছু কি… মানে বলছিলাম আর কী…। সবাইকে না। ধরেন যেসব নায়িকা বৃষ্টিতে ভিজে, নায়কের সঙ্গে লুকিয়ে দেখা করে, নাচ-গান করে… ।