বইটির প্রসঙ্গকথা:
আর্য শব্দটির সঙ্গে শিক্ষিত মাত্রই পরিচিত। এই শব্দটিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে নানা বিতর্ক, নানা রহস্য। প্রথম দিকে যাঁরা এ সম্পর্কে তাত্ত্বিক আলােচনা শুরু করেন, তাঁরা হয়ত বিষয়টি স্পষ্ট না বােঝেই বিবৃতি দিয়েছিলেন । ভাষা এবং সংস্কৃতি অপরিচিত ছিল বলেই হয়তাে কিছু ভুল-ভ্রান্তি তাঁদের ঘটেছিল । কিন্তু পরবর্তীকালে একদল অশুভ গবেষক অসাম্প্রদায়িকতার ছদ্ম আবরণে প্রাচ্য-সংস্কৃতি বিরােধী কাজে এই শব্দটিকে ব্যবহার করতে থাকেন। ভ্রান্ত ও অসাধু গবেষকের যৌথ প্রযােজনায় এরপর যে চিত্রনাট্য সম্পাদিত হয়, তার নাম হচ্ছে ধূর্ত সাম্প্রদায়িকতা। ভারত তথা বিশ্বের প্রাচীন কৃষ্টি সভ্যতার জনকদেরে সম্মানের পরিবর্তে অসম্মান, এবং প্রশংসার পরিবর্তে ঘৃণীতভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা হয়ত তাদের ছিল না, কিন্তু সচেতন কিংবা অবচেতনভাবে সেটাই হতে থাকে উপস্থাপিত। অবশ্য শব্দগুলাের অপব্যাখ্যা জনিত কারণে উদ্ভূত হীন্মন্যতা বা মনােকষ্ট থেকেও এসব রচনা রচিত হয়ে থাকতে পারে। আলােচ্য গ্রন্থে খুব সহজ সরল ভাষায়, সুস্পষ্ট যুক্তি ও পর্যাপ্ত প্রমাণের সাহায্যে এসব বিতর্ক অবসানের চেষ্টা করা হয়েছে। আশাকরি সর্বস্তরের পাঠকের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রে কলকাতা নিবাসী শ্ৰীযুক্ত শক্তিনাথ ভট্টাচার্যের অবদান অনস্বীকার্য । তিনি সুহৃদকুমার ভৌমিকের ‘আর্য রহস্য’ গ্রন্থটি পাঠ করার সুযােগ করে দিয়েছেন। গ্রন্থ প্রণেতা একারণে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।