“একাত্তরের বীরযোদ্ধা: খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (১ম খণ্ড)”: মুক্তির লড়াইয়ে আমাদের বিজয়ের পেছনে ছিল সম্মুখযুদ্ধে বহু মুক্তিযোদ্ধার সাহসিকতাপূর্ণ অংশগ্রহণ। তাই রাষ্ট্রও সেই সোনার সন্তানদের বরণ করে নিয়েছিল বীরত্বসূচক খেতাব দিয়ে। কিন্তু যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ছাড়া এ দেশ কখনো স্বাধীন হতো না, তাঁদের অনেকেই এখনো রয়ে গেছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। তাঁদের অনেকেরই পরিচয় আমাদের অজ্ঞাত, বীরত্বগাথা অজানা। খেতাব পাওয়া সেই মুক্তিযোদ্ধাদের কথা বিস্মৃতির গহ্বর থেকে বের করে এনে ভবিষ্যতে সংরক্ষণের প্রচেষ্টা এই সংকলন। এই খণ্ডে তুলে ধরা হয়েছে খেতাব পাওয়া ৩০০ জন মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বগাথা। বাকি মুক্তিযোদ্ধাদের কথা দ্বিতীয় খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হবে। এ বই আমাদের যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে যাবে, ইতিহাসের চমকপ্রদ ও রোমাঞ্চকর উপাদানের সন্ধান দেবে আর পাঠকের মধ্যে সঞ্চার করবে মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোর উদ্দীপনা।
“একাত্তরের বীরযোদ্ধা: খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (২য় খন্ড)” ফ্ল্যাপে লেখা কথা : মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ নামের এই রাষ্ট্র। মুক্তির লড়াইয়ে আমাদের বিজয়ের পেছনে ছিল বহু মুক্তিযোদ্ধার দুঃসাহসী অংশগ্রহণ। রাষ্ট্রও দেশমাতৃকার সেই সাহসী সন্তানদের সম্মানিত করে বীরত্বসূচক খেতাব দিয়ে। তাঁদের মোট ৬৭৬টি খেতাব দেওয়া হয়। চার স্তরের খেতাবের শীর্ষে রয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’। এরপর যথাক্রমে ‘বীর উত্তম’, ‘বীর বিক্রম’, ‘বীর প্রতীক’।
যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ছাড়া এ দেশ স্বাধীন হতো না, তাঁদের অনেকে এখনো রয়ে গেছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। অনেকেরই পরিচয় আমাদের অজ্ঞাত, বীরত্বগাথা অজানা। স্বাধীনতার ৪০ বছর উপলক্ষে তাঁদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে প্রথম আলো তা ধারাবাহিকভঅবে প্রকাশ করতে থাকে। ৩০০ জন মুক্তিযোদ্ধার সম্মুখযুদ্ধের ঘটনাবলি নিয়ে ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল একাত্তরের বীরযোদ্ধা : খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা প্রথম খণ্ড। এবার বেরোল বইটির দ্বিতীয় খণ্ড। এই খণ্ডে আরও ৩১৬জন খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বগাথা সংকলিত হলো। এই বইও আমাদের একাত্তরের রণাঙ্গনে নিয়ে যাবে, ইতিহাসের চমকপ্রদ ও রোমাঞ্চকর উপাদানের সন্ধান দেবে আর পাঠকের মধ্যে সঞ্চার করবে মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোর উদ্দীপনা।