সমাজতন্ত্রের অনিবার্য ভবিষ্যৎ

৳ 500.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849268321
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৩১২
সংস্কার 1st Published, 2018
দেশ বাংলাদেশ

“সমাজতন্ত্রের অনিবার্য ভবিষ্যৎ” ফ্ল্যাপে লেখা কথা:
বদরুদ্দীন উমর আমাদের সমাজব্যবস্থা বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সার্থকতা প্রদর্শন করেছেন– তাঁর রচনাবলী এ কথার প্রমাণ। এগুলি রচনা শুরু হয়েছিল ষাটের দশকে। প্রথম প্রকাশ হয়েছিল ১৯৬৬ সনে সাম্প্রদায়িকতা গ্রন্থের মাধ্যমে। এরপর তিনি রচনা করেন সংস্কৃতির সংকট এবং সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা গ্রন্থ। ষাটের দশকে এসমস্ত গ্রন্থ প্রণয়ন করা ছিল দুঃসাহসিক কাজ। ১ম ও ৩য় গ্রন্থটি সরকার বাজেয়াপ্ত করার নােটিশ দিয়েছিল। এরপরে বের হল তাঁর পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি, তিন খণ্ড। এই গ্রন্থত্রয় হলাে বাঙালীর রাজনৈতিক মহাকাব্য। তিনি আমাদের ভাষা আন্দোলনের সাহিত্যিক স্থপতি। একে একে তাঁর শতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হলাে। এসব গ্রন্থে ঐতিহাসিক ও দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের স্ফটিকে বাঙলাদেশের রাজনৈতিক-অর্থনীতিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তিনি স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করেছেন।

বদরুদ্দীন উমরের জন্ম ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর পশ্চিম বাঙলার বর্ধমান শহরে। মার্কসবাদী তাত্ত্বিক, রাজনীতিবিদ, প্রাবন্ধিক ও ইতিহাসবিদ হিসেবে তিনি বাঙলাদেশে সুপরিচিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. এ. পাশ করার আগেই ১৯৫৪ সালে দর্শন বিভাগে অস্থায়ীভাবে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৫ সালে এম. এ.

পাশ করার পর ১৯৫৬ সালে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজে এবং ১৯৫৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৬১ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় হতে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি এই তিন বিষয়ে অনার্স ডিগ্ৰী অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগেরও তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা। ষাটের দশকে প্রকাশিত তাঁর তিনটি বই সাম্প্রদায়িকতা (১৯৬৬), সংস্কৃতির সংকট (১৯৬৭) ও সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা (১৯৬৯) তত্ত্বকালে বাঙালী জাতীয়তাবাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সময় পাকিস্তান সরকারের সাথে তাঁর বিরোধ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এবং তিনি নিজেই ১৯৬৮ সালে অধ্যাপনার কাজে ইস্তফা দিয়ে সরাসরি রাজনীতি ও সার্বক্ষণিক লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত করেন।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ