গণিতের বেস্ট সেলিং ৫টি বই

৳ 1.00

লেখক
প্রকাশক
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৬২৮
দেশ বাংলাদেশ

“অঙ্ক ভাইয়া” বইটিতে ফ্ল্যাপে লেখা কথাঃ টেনশন টিনা, যে তুচ্ছ কারণে দুশ্চিন্তা করতে করতে হতাশায় ডুবে যায়,
বিটলা বান্টি, দুষ্টুমির আড়ালে যার প্রশ্নগুলো চিন্তার খোরাক জোগায়,
তুখোড় তন্বী, যে পারদর্শী নানামুখী দক্ষতায়,
আর অবাক পৃথ্বী, জগতের সবকিছুতে যে বিস্ময় খুঁজে পায়
-ওরা সবাই আজ অসহায় নজিবুল্লাহ মাস্টারের দাপটে।
ওদের মনে গণিত নিয়ে হাজারো প্রশ্ন, উত্তর মেলে না কিছুতেই!
ওরা তখন আশ্রয় খোঁজে অংক ভাইয়ার কাছে।
কোত্থেকে এলো, কোথায় কাজে লাগে, এটা এমন কেন, অমন নয় কেন, এটা শিখে কী হয়, ওটার মূল ঘটনাটা কী- এমনসব প্রশ্নের উত্তর ‘অংক ভাইয়া’ দিয়ে যান পরম মমতায়।
বাংলাদেশের আয়তন নাকি ক্ষেত্রফল, পেঁয়াজকুচি পদ্ধতিতে গোলকের আয়তন, পিথাগোরাস দিয়ে আইনস্টাইন, ফাংশনের বৃত্তান্ত, পৃথিবীর সুন্দরতম সমীকরণ, ঋনাত্মক সংখ্যার লসাগু-গসাগু, গিটারের গণিত, হাতে কলমে ঘনমূল, সাইন কসের নামরহস্য, লগ এর ভিতরের কথা, অসমতার চিহ্ন – এমন চিন্তাগুলো যদি আপনার মনে কৌতূহল জাগায়, এই বইটি আপনার জন্য!

সহজ ক্যালকুলাস’ বইয়ে ফ্ল্যাপের কথাঃ সবাই, পাটিগণিত, এলজেব্রা, জ্যামিতির নাম শুনে অভ্যস্ত। ক্যালকুলাসের নাম শুনলেই কিন্তু অনেকেই নড়েচড়ে বসে। ধরে নেয় এটা বুঝি বড়দের বিষয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে। যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগের মতো সহজ কয়েকটা গাণিতিক প্রক্রিয়া জানলেই যে ক্যালকুলাস বোঝা কিংবা ব্যবহার করা সম্ভব, সেই খবরটি কিন্তু সবাই জানে না। এই ছোট্ট বইটি লেখা হয়েছে সবাইকে সেই খবরটি দেয়ার জন্যে। ভূমিকাঃ ক্যালকুলাস বিষয়টা আমার কাছে সব সময়েই প্রায় ম্যাজিকের মতো মনে হয়েছে! যারা বিজ্ঞান কিংবা প্রযুক্তি নিয়ে লেখাপড়া করে তাদের সবাইকেই আগে হোক কিংবা পরে হোক এটা শিখতে হয়। কিন্তু অনেক সময়েই দেখেছি ছেলেমেয়েরা ক্যালকুলাস ব্যবহার করার কিছু নিয়ম শিখেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তার ভেতরকার সৌন্দর্যটা নিয়ে আগ্রহী হচ্ছে না, তাই আমি এই ছোট বইটা লিখেছি ছেলেমেয়েদের ভেতর ক্যালকুলাসের জন্যে আগ্রহ জন্মানোর জন্যে!
তবে সবাইকে আমি মনে করিয়ে দিই, গণিতের একটা বই লেখার জন্যে যে রকম নিয়ম মেনে চলতে হয়, এই বইয়ে সেটা কিন্তু মেনে চলা হয়নি। যেমন অন্তত একটি জায়গায় সত্যিকারের ফাংশন নয় সে রকম একটি উদাহরণেও ক্যালকুলাস ব্যবহার করা হয়েছে (দেখি কে সেটা বের করতে পারে!) তাই কেউ যদি এই বই পড়েই থেমে যায় তাহলে হবে না, এটা পড়া শেষ করে তাকে সত্যিকারের ক্যালকুলাস বই পড়তে হবে।
আরও একটা বিষয় মনে করিয়ে দেয়া যায় মানুষ যেভাবে বিছানায় শুয়ে কিংবা গালে হাত দিয়ে গল্পের বই পড়ে সেভাবে এই বইটি পড়লে হবে না। চেয়ার-টেবিলে বসে খাতা এবং কলম হাতে নিয়ে এটি পড়তে হবে, উদাহরণগুলোতে বুঝতে হবে, অনুশীলনীগুলো সমাধান করতে হবে! তা না হলে কিন্তু ক্যালকুলাস শেখা হবে না! মুহম্মদ জাফর ইকবাল ৯.৬.২০১৬। সূচিঃ ডিফারেন্সিয়েশান বা ডেরাইভেটিভ ১. ক্যালকুলাস কেন?- ১১
২. কেমন করে হলো?- ১৩
৩. পরিবর্তনের হার- ১৬
৪. আসল ক্যালকুলাস- ২৫
৫. কিছু গুরুত্বপূর্ণ থিওরেম- ৩৫
৬. ফাংশনের ফাংশনকে ডিফারেন্সিয়েশান- ৩৯
৭. ইমপ্লিসিট ফাংশন (Implicit Function)- ৪৪
৮. ফাংশনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন মান- ৪৭
ইন্টিগ্রেশান ১. ডিফারেন্সিয়েশানের বিপরীত প্রক্রিয়া- ৬৩
২. অন্যভাবে ইন্টিগ্রেশান- ৬৬
৩. ডেফিনিট ইন্টিগ্রাল- ৭৬
পরিশিষ্ট- ৮৫

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
বইটির উদ্দেশ্য গণিত শেখানো নয়, বইটির উদ্দেশ্য গণিতের উৎসাহী করে তোলা। গণিতের চমকপ্রদ, রহস্যময় বা মজার কিছু বিষয় এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
গণিতের সমস্যা না করা হলে গণিতের মজাটুকু পুরোপুরি বোঝা যায় না, তাই খুঁজে পেতে একশ সমস্যা এখানে জুড়ে দেয়া হয়েছে। সমস্যাগুলো এমনভাবে বেছে নেয়া হয়েছে যে গণিতের জ্ঞান খুব বেশি না হলেও কোনো ক্ষতি নেই, যে-কেউ এখানে দাঁত বসাতে পারবে। সত্যি কথা বলতে কী, কিছু কিছু সমস্যা আসলে খাঁটি গণিতের সমস্যা নয়- যুক্তিতর্ক এবং লজিকের সমস্যা।
এই বইয়ের শেষ পর্বে একশ চমকপ্রদ সংখ্যা তুলে দেয়া হয়েছে, সেগুলোকে একবার চোখ বুলিয়ে গেলে যে কেউ মজা পাবে, বুদ্ধি পরীক্ষা করার জন্যে এর চাইতে মজার কিছু হতে পারে না।
“গণিতের মজা মজার গণিত” বইটির ভূমিকাঃ এই বইটির উদ্দেশ্য গণিত শেখানো নয়, বইটির উদ্দেশ্য গণিতে উৎসাহী করে তোলা। গণিতের যে বিষয়গুলো আমার কাছে চমকপ্রদ, রহস্যময় বা মজার বলে মনে হয়েছে তার কিছু এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
গণিতের সমস্যা না করা হলে গণিতের মজাটুকু পুরোপুরি বোঝা যায় না, তাই খুঁজে পেতে একশ সমস্যা এখানে জুড়ে দেয়া হয়েছে। বইয়ে এর সমাধানগুলোও আছে, কিন্তু আমি আশা করব একেবারে বাধ্য না হলে কেউ সমস্যাগুলো দেখবে না। সমস্যাগুলো এমনভাবে বেছে নেয়া হয়েছে যে গণিতের জ্ঞান খুব বেশি না হলেও কোনো ক্ষতি নেই, যে কেউ এখানে দাঁত বসাতে পারবে। সত্যি কথা বলতে কী, কিছু কিছু সমস্যা আমলে খাঁটি গণিতের সমস্যা নয়- যুক্তিতর্ক এবং লজিকের সমস্যা। আমি নিজে সেগুলোর পিছনে অনেক সময় কাটিয়ে দিতে পারি, আমার ধারণা অন্যেরাও পারবে।
আবার বলছি, একজন পাঠক বা পাঠিকাও যদি এই বইটি পড়ে গণিতে উৎসাহী হয় আমি মনে করব আমার পরিশ্রমটুকু কাজে লেগেছে- সবাইকে বলে রাখি, এর চাইতে অনেক কম পরিশ্রমে একটা সায়েন্স ফিকশান বা একটা কিশোর অ্যাডভেঞ্চার লেখা যায়।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
শাবিপ্রবি, সিলেট
সূচিপত্র প্রথম পর্ব : গণিতের মজা
* 1 = 2
* আবার 1 = 2
* আরো একবার 1 = 2
* শেষবার 1 = 2
* গাউস দিয়ে শুধু
* ফিবোনাচি ধারা
* ফিবোনাচি পদ
* মৌমাছির বাচ্চা
* সোনালী অনুপাত
* টাওয়ার অফ হ্যানয়
* মারজেন প্রাইম ও পারফেক্ট সংখ্যা
* সসীম ক্ষেত্রের অসীম পরিসীমা
* বাইনোমিয়ালের সূত্র এবং প্যাস্কেলের ত্রিভুজ
* বর্গমূল কতো?
* উৎপাদক কতো?
দ্বিতীয় পর্ব
* একশ মজার গাণিতিক সমস্যা
* সমাধান
তৃতীয় পর্ব
* একশ চমকপ্রদ সংখ্যা
পরিশিষ্ট
* বই ওয়েবসাইটের তালিকা

“জ্যামিতির সব বিখ্যাত সমস্যা ও সমাধান” সূচিপত্রঃ অধ্যায়-১ : প্রাচীন গ্রিকদের অর্জন
* অধ্যায়-২ : গঠনযোগ্যতার একটি বিশ্লেষণী মানদনণ্ড
* অধ্যায়-৩ : জটিল সংখ্যা
* অধ্যায়-৪ : ডেলিয়ান সমস্যা
* অধ্যায়-৫ : কোন কোণকে ত্রিখণ্ডিত করা
* অধ্যায়-৬ : বৃত্তকে বর্গক্ষেত্রে রূপান্তরের সমস্যা
* অধ্যায়-৭ : সুষম বহুভুজ নির্মাণের সমস্যা
* অধ্যায়-৮ : শেষের কথা
* উত্তরমালা

”নিউরনে অনুরণন” বইটিতে ফ্ল্যাপে লেখা কথাঃ আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা পৃথিবীর সেরা। কিন্তু আমি যখন দেখি তাদের সৃজনশীলতাকে পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়ে তাদের ঘাড়ে মোটা মোটা বই চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে মুখস্থ করার জন্য, তখন দুঃখে আমার বুকটা ভেঙে যায়। আমি হয়তো আমার কাছাকাছি দু-চারজনকে উৎসাহ দিতে পারি, সাহায্য করতে পারি; কিন্তু দেশের হাজার হাজার ছেলে-মেয়েকে সাহায্য করবে কে? তাই অনেক ভাবনা-চিন্তা করে আমি আর প্রফেসর কায়কোবাদ একটা বুদ্ধি বের করেছি। এই বইতে গণিত বিষয়ক কিছু লেখার পাশাপাশি মজার মজার দুইশ গাণিতিক সমস্যা তুলে ধরা হলো। এই অঙ্কগুলোর কোনো কোনোটা হবে সোজা, কোনো কোনোটা হবে কঠিন, কোনো কোনোটা হবে ইতিহাস বিখ্যাত, কোনো কোনোটা হয়তো হবে একেবারেই অসাধ্য! এ দেশের ছেলে-মেয়েরা সেগুলো করতে গিয়ে চিন্তা করতে শিখবে, সৃজনশীলতা বাড়বে, কল্পনাশক্তির বিকাশ হবে। তারা আবিষ্কার করবে অঙ্ক করা যতটুকু মজার ব্যাপার, তার থেকে একশ গুণ বেশি মজা সেই অঙ্কটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা। সেটা করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত তাদের মস্তিষ্কে নিউরনের অনুরণন হতে থাকবে। তাই এর নাম দিয়েছি নিউরনে অনুরণন।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
সূচি * কী এবং কেন?
* মেধার বিকাশে
* রামানুজন
* সংখ্যাতত্ত্ব
* লিউনার্দ অয়লার
* পাই কেমন করে পাই
* কার্ল ফ্রেডরিক গাউস
* ধারা
* পল আরডস
* কাল্পনিক (?) সংখ্যা
* পরিশিষ্ট

বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরী পাঠকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি মূলত এ দেশের একজন বিখ্যাত লেখক, পদার্থবিদ এবং শিক্ষাবিদ। কিশোর সাহিত্য, শিশুতোষ গ্রন্থ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, গণিত বিষয়ক বই এর জন্য খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৯৫২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা বাবা ফয়জুর রহমানের চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলাতেই তিনি পড়াশোনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে পিএইচডি ডিগ্রী অজর্নের উদ্দেশ্যে স্কলারশিপ নিয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পিএইচডি সম্পন্ন করে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে বিখ্যাত বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চ ল্যাবেও গবেষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে দেশে ফিরে এসে তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সবসময়ই এ দেশের কিশোর-কিশোরীদের কাছে বিশেষ আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছে। কিশোর সাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ক অজস্র গ্রন্থ দিয়ে তিনি আলোকিত করে তুলেছেন এদেশের অগণিত কিশোর-কিশোরীর মনোজগত। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমূহ, যেমন- দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদ, আমি তপু, শান্তা পরিবার, দস্যি ক’জন ইত্যাদি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। তার বেশ কিছু গল্প পরবর্তীতে নাটক ও চলচ্চিত্র হিসেবে টিভি পর্দায় স্থান করে নিয়েছে। তিনি একজন বিশিষ্ট কলামিস্টও। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডও তাঁর ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর বই সমগ্র সকল বইপড়ুয়াকেই আকৃষ্ট করে। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বহুবার পুরষ্কৃত হয়েছেন। বাংলা একাডেমি পুরষ্কার (২০০৪) এবং শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (২০০৫) সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, কাজী মাহবুবুল্লা জেবুন্নেছা পদক (২০০২), শেলটেক সাহিত্য পদক (২০০৩), ইউরো শিশুসাহিত্য পদকসহ (২০০৪) অগণিত পুরষ্কার অর্জন করেছেন গুণী এই সাহিত্যিক।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ