”জীবনঝঞ্ঝা” বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা:
‘মরুঝড়’, ‘পথভ্রষ্ট ঘূর্ণির কৃষ্ণগহ্বর’, ‘তবু বাঁধন’ ও ‘মায়াবতী’–এ চার উপন্যাস নিয়ে ‘মােহিত কামালের উপন্যাসসমগ্র তৃতীয় খণ্ড’-এর নামকরণ করা হয়েছে ‘জীবনঝঞা। মরুঝড় : সজলসমতলসবুজ বাংলদেশে মরুঝড়! সংকট আর সমস্যার এ ঝড় বয়ে চলেছে বাংলাদেশের মানুষের মনের গহনে, ঘরে ঘরে, পরিবারে পরিবারে। এ ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বাংলাদেশের মানুষের মনভুবন। মরুভূমির দেশে প্রবাসী শ্রমিকের স্বজনদের জন্য টান, দেশে রেখে যাওয়া কিশােরী নববধূর জন্য বুকের হাহাকার এ উপন্যাসের মূল প্রবাহকে তরঙ্গিত করেছে। পথভ্রষ্ট ঘূর্ণির কৃষ্ণগহ্বর : এ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার সর্বদক্ষিণের জোহর বারুই—এশিয়ার দক্ষিণের শেষবিন্দু ‘তানজুং পিয়াই’। এখানে উঠে এসেছে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের কাহিনি, পাসপাের্ট হাতছাড়া হওয়ায় বেআইনি হয়ে-পড়া বাংলাদেশের তরুণদের মানবেতর জীবনযাপন, বন্দিত্ব আর আন্তর্জাতিক সােনা চোরাচালানের ভেতরের গল্প। তবু বাঁধন : উদ্ভিন্নযৌবনা প্রত্যয়দীপ্ত তরুণী মেঘা ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ছাত্রী। মাত্র দেড় বছর বয়েসে মাতসঙ্গহীনা। সহসা একদিন সৎবাবার কাছে আসল কথা জেনে বাঁধন-হেঁড়া ঘুড়ির মতােই ঘাই খেয়ে যায় মেঘার মস্তিষ্ক। মেঘা তবু এগিয়ে যেতে চায় শেকড়ের সন্ধানে। একসময় মেঘার আলােয় ঝলমল আকাশ দেখতে পাবেন পাঠক। মায়াবতী : সাহিত্যের শব্দবিন্যাসে লেখক ব্যবহার করেছেন মনস্তত্ত্ব ও সমাজের আড়ালের চিত্র। মায়ের অবস্থানে মা-মেয়ের অবস্থানে মেয়ে : মায়ের এবং মেয়ের মাঝে সংঘাত বাধে। কেন্দ্রীয় চরিত্র রিয়া যে ‘ভুল’ করে তা কেবল গল্পের জন্য গল্প নয়—এ ভুল। থেকে সকল রিয়া কীভাবে মুক্ত থাকবে তার শিল্পসম্ভব নির্মিতি আমাদের সাহিত্যে উল্লেখযােগ্য এক ঘটনা।