আঙ্গারীঘাট – ফ্ল্যাপের লেখা হিজলতলী গ্রামের খুব সুন্দর একটা নদী ছেউটি। স্থানীয়রা এটাকে আঙ্গারীঘাট বলে ।
কানাডা প্রবাসী মনিরার কৈশোরের স্মৃতি বিজড়িত অনেক আবেগের নদী এই আঙ্গারীঘাট। তাই সে বিশবছরের প্রবাস জীবনের ইতি ঘটিয়ে দেশে চলে আসে। ইচ্ছে, নদীটির পাড়ে একটি বাংলো ধরণের বাড়ি বানিয়ে সে পরিবার নিয়ে থাকবে।
এই নদীর ধারেরই এক হতদরীদ্র মেয়ে বাশেরা। সে ভালোবেসে সংসার পেতেছে ঐ নদীর ধারে। বর্তমানে সে দুই সন্তানের মা। অসম্ভব রূপবতি গাঁইয়ের এই বধুটি প্রচণ্ড সাহসী। সে তার সহজ-সরল স্বামী বাবুলকে যেমন ভালোবাসে, তেমন নদীটিকেও খুব ভালোবাসে। কিন্তু একসময় নদীটায় বাধ দিয়ে প্রভাবশালীরা মাছ চাষ করতে চাইলে সে তাদের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। তাদের সাথে না পেরে ওঠায় তাদের জন্য নদীতে নামা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। তবুও শুধুমাত্র নদীটাকে দেখতে পাবে এই আশায় সে ওখানে বসবাস করে।
নদী ও নারীর এই গল্পে দুটি মেরুতে থাকা দুই নারীর স্বপ্ন কি অবশেষে পূরণ হবে?