করেই দেখো বিজ্ঞান!

৳ 160.00

লেখক
প্রকাশক
আইএসবিএন
(ISBN)
9789848072127
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৮৮
সংস্কার 1st Published, 2019
দেশ বাংলাদেশ

করেই দেখো বিজ্ঞানের ফ্লাপের লেখা:
বিজ্ঞান করার সাথে বিজ্ঞান বোঝার সর্ম্পক খুব গভীর। বিজ্ঞান করা হচ্ছে নিজের চোখের সামনে বিজ্ঞানকে ঘটতে দেখা। তাহলে বিজ্ঞান পড়ার সাথে সাথে বিজ্ঞান অনুশীলন করলে কি লাভ? তুমি জানতে পারবে যে বিজ্ঞান মজাদার। এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে হয়তো দেখবে প্রথমেই সফল হবে না, তবে ধৈর্য্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে গেলে সফলতা আসবেই। বিজ্ঞানীরা তোমার থেকে আলাদা কেউ ছিলেন না। তাদের জীবনেও প্রচুর ব্যর্থতা এসেছে। তা সত্ত্বেও তারা রাতদিন বিজ্ঞান নিয়ে লেগে থাকতেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তর তুমি পাবে বিজ্ঞান করতে করতে। বিজ্ঞান করে দেখলে সবথেবে বেশি যে লাভ হবে সেটা হচ্ছে যেকোন সাধারণ ঘটনাকে অসাধারণ মনে হবে তোমার কাছে। কারন তুমি যখন নিজের হাতে মোটর বানাতে শিখবে, ধোঁয়া ঢালাঢালির রহস্য বুঝবে অথবা টেসলা কয়েলের সৌর্ন্দয্য দেখবে তখন সব সারধারণ ঘটনারও পেছনের বিজ্ঞানকে খুজে দেখতে চাইবে তুমি। তাইতো সবাইকে বলছি, একবার করেই দেখো বিজ্ঞান।
সূচিপত্র
১) চাপের কারসাজি
২) টেসলা কয়েল
৩) নিজেই চাষ কর ব্যাকটেরিয়া
৪) চুম্বক ভাসানাে: লেট্রিন
৫) বায়ুর যাদুশক্তি
৬) বােতলে বেলুন হয়ে উঠে জীবন্ত!
৭) বেলুন ফাটবে না।
৮) লিকপ্রুফ ব্যাগ
৯) ধোয়ার বােমা
১০) ঘূর্ণন যন্ত্র
১১) বােতলের ভেঁকুর তােলা
১২) চুম্বকের অদৃশ্য প্যারাসুট
১৩) ম্যাগ্নেটিক ট্রেন
১৪) বােতলের ভেতরে মেঘ!
১৫) রঙ উঠে যায় বেয়ে
১৬) চা প্যাকেটের রকেট
১৭) সুঁই পানিতে ভাসাও।
১৮) লাঠি ব্যালেন্সিং ট্রিক
১৯) ইনফ্রারেড দেখতে তােমায় পাই
২০) ধোয়া করি ঢালাঢলি
২১) কোকের রঙ করে দেই ফ্যাকাশে
২২) দ্রুত বরফ!
২৩) কলা দিয়ে বেলুন ফুলাও!
২৪) নিজেই বানাও মোটর!
২৫) মধু আসল না নকল?
২৬) ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ
২৭) পার্টিক্যাল ডিটেক্টর
২৮) সসের প্যাকেটের সাবমেরিন
২৯) বার্নলি বল
৩০) টুথপিক যায় সরে!
৩১) বেলুনের হােভারক্র্যাফট
৩২) হিরাের স্টিম ইঞ্জিন
৩৩) ধোয়ার কামান
৩৪) দুধের মধ্যে রঙের বাহার
৩৫) ফায়ারপ্রুফ বেলুন।
৩৬) ভরটেক্স ব্রেকডাউন
৩৭) অদৃশ্য কালি!
৩৮) চুম্বক টিভিতে
৩৯) দ্রুত বােতল খালি করি
৪০) হট আইস
৪১) কলাদাম বাতি
৪২) কার্বন ডাই-অক্সসাইডের রকেট

সারাংশঃ বিজ্ঞানকে দেখলে মনে হয় যেন কেবলমাত্র পরীক্ষা করবার জন্যই বিজ্ঞানের সৃষ্টি হয়েছে। পরিক্ষা-নিরীক্ষা আর যাচাই না করে দেখলে বিজ্ঞানের আনন্দ কোথায়? নিজের হাতে পরীক্ষা করতে বসলে দেখা যেবে যে নিজেকে একজন ছোটখাট বিজ্ঞানীই মনে হবে। আর সবাইকে এই ছোটখাট বিজ্ঞানীই মনে করানোর জন্য লেখক মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম সানজিদ এই বইটিতে মোট ৪২টি পরিক্ষা-নিরীক্ষার কথা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম সানজিদ ৬ই সেপ্টেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহন করেন। তিনি বাউণ্ডুলের মতো ঘুরাঘুরি করা অনেক পছন্দ করেন। এবং তিনি মনে করেন একটি বিজ্ঞানমনস্ক জাতি তৈরি করতে হলে বেশি বেশি বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। এই যে ৪২টি পরিক্ষা-নিরীক্ষার কথা লেখক লিখেছেন তার এই বইতে তার থেকে ১টি পরিক্ষা একটু ব্যাখ্যা করা হল যাতে বইটি সম্পকে একটি ধারণা পাওয়া যায়।
চাপের কারসাজিঃ
বল কে যতটুকু জায়গাতে প্রয়োগ করা হয় সেটা হচ্ছে চাপ। এইটি একটু চিন্তা করলে বুঝা যায়, যেমন কলমের খোঁচায় বেশি ব্যথা লাগে নাকি আঙ্গুলের খোঁচায়? এই থেকে বুঝা যায় একই পরিমাণ বলকে যত ক্ষুদ্র স্থানে প্রয়োগ করা হবে চাপ ততউ বেশি হবে। এটি প্রমান করতে একটি বেলুনকে একটি পেড়েক বা তারকাটা দিয়ে খোঁচা মারার সাথে সাথে বিকট শব্দ হয়ে বেলুনটি ফেটে যাবে কিন্তু বেশ কিছু পেড়েক বা তারকাটা একটি পাতলা কাঠ এর ভিতর বর্গ আকারে গেঁথে তা সূচালো মাথা গুলো সমান উচ্চতায় যেতে বের হয়। এখন ঐ আগের মতো ফোলানো বেলুন এবং আগে যে পরিমান বল প্রয়োগ করা হয়েছিল তা প্রয়োগ করলে দেখা যেবে বেলুনটি আর ফাটছে না। বইতে খুব সুন্দর করে ছবি দিয়ে দেখানো হয়েছে যে সবার বুঝতে আরো সহজ হবে।

বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ