“ইনফ্লুয়েঞ্জা খুব বাজে অসুখ, শার্লক হােমস বলল। “কিন্তু তােমার বিবেচনা ঠিক আছে, তােমার স্ত্রীর যত্নে থাকলে বাচ্চাটা দ্রুত সুস্থ্য হয়ে যাবে।”
“সেটা হলেই ভালাে,” তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে উত্তর দিলাম। চায়ের কাপটা ঠোঁট পর্যন্ত তুলেছিলাম মাত্র কিন্তু তার কথায় সেটা এত জোরে টেবিলে নামিয়ে রাখলাম যে আরেকটু হলেই কাপ আর পিরিচ ভেঙে টুকরাে টুকরাে হয়ে যেত। “যথেষ্ট হয়েছে হােমস!” খেঁকিয়ে উঠলাম। “তুমি আমার মনের কথা পড়ে নিচ্ছে। এখানে আসার পর একবারও আমার বাচ্চার বা তার অসুখের কথা উচ্চারণ করিনি। হয়তাে আমার এখানে হুট করে চলে আসা থেকে আমার বউ যে বাসায় নেই সেটা তুমি বুঝতে পেরেছে। কিন্তু সে কেন বা কোথায় গেছে সেটা তােমাকে বলিনি আর আমি নিশ্চিত তুমিও আমার হাবভাব থেকে সেরকম কিছু আঁচ পাওনি।”……