‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২ বইয়ের সূচিপত্রঃ’ * কুরআন কি নারীদের শস্যক্ষেত্র বলেছে?- ১৫
* A Reply to Christian Missionary- ২৫
* ইসলাম কি অমুসলিমদের অধিকার নিশ্চিত করে?- ৪০
* কুরআনে বৈপরীত্যের সত্যাসত্য- ৫১
* বনু কুরাইজা হত্যাকাণ্ড—ঘটনার পেছনের ঘটনা- ৬৩
* স্যাটানিক ভার্সেস ও শয়তানের ওপরে ঈমান আনার গল্প- ৮০
* রাসূলের একাধিক বিবাহের নেপথ্যে- ৯২
* জান্নাতেও মদ?- ১১৩
* গল্পে জল্পে ডারউইনিজম- ১২৫
* কুরআন কেন আরবী ভাষায়- ১৩৬
* সূর্য যাবে ডুবে- ১৫৩
* সমুদ্রবিজ্ঞান- ১৬৪
* লেট দেয়ার বি লাইট- ১৭৯
* কাবার ঐতিহাসিক সত্যতা- ১৯৮
* নিউটনের ঈশ্বর- ২১৫
* পরমাণুর চেয়েও ছোট- ২২৫
* লেখক-পরিচিতি- ২৩৫
বইয়ের কিছু কথাঃ কুরআন কি নারীদের শস্যক্ষেত্র বলেছে?
অনেকদিন পর শাহবাগে হঠাৎ নীলু দা’র সাথে দেখা। প্রথমে খেয়াল করিনি। পেছন থেকে এসে আমার মাথায় টোকা দিয়ে বললেন, কী খবর কবি সাহেব?’
পেছন ফিরতেই দেখি হাতে একগাদা বই নিয়ে নীলু দা দাঁড়িয়ে আছেন। চোখে মোটা ফ্রেমের কালো চশমা লাগিয়েছেন বলে দেখতে একদম স্কুল মাস্টারের মতো লাগছে। খয়েরি রঙের টি-শার্ট গায়ে। আমি খুবই অপ্রস্তুত ছিলাম। বললাম, আরে দাদাভাই যে! কেমন আছ?
‘ভালো। তুই কেমন?’
‘ভালো।’
কুশলাদি বিনিময় করতে করতে আমরা একটি ফাঁকা স্থানে এসে দাঁড়ালাম। নীলু দা জিজ্ঞেস করল, ‘সাজিদ কোথায়?’
এই মুহূর্তে সাজিদ কোথায় তা আমিও জানি না। একটু আগেও সে আমার সাথে ছিল। আমি মোবাইলে টাকা রিচার্জ করে এসে দেখি সে উধাও। কখন থেকে ফোন করেই যাচ্ছি! যদিও জানি, সে আমার ফোন ওঠাবে না, তবুও ব্যর্থ চেষ্টা করে যাওয়া আরকি! কতক্ষণই বা এরকম কাঠফাঁটা রোদে দাঁড়িয়ে থাকা যায়?
নীলু দা’র প্রশ্নের জবাবে বললাম, ‘আছে হয়তো এদিকে কোথাও।’… ‘মা, মা, মা এবং বাব’ বইয়ের সূচিপত্রঃ
জীবন থেকে নেওয়া* মায়ের চিঠি- ১৭
* সালেম- ২১
* বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসুন- ৩১
* এই ঋণ শোধ হবার নয়- ৩৩
* উপহার- ৩৭
* মায়ের চোখে পৃথিবী- ৪১
* ত্যাগ ও বিনিময়- ৪৫
* তবুও সৌভাগ্যবান- ৪৯
* রেস্টুরেন্টে একদিন- ৫৫
* মায়ের মিথ্যে বলা- ৫৭
* অবহেলা- ৬১
* অনুশোচনার গল্প: হারিয়ে ফেলার পরে- ৬৩
* লোভের তাড়না- ৬৯
* অনুশোচনার গল্প: রক্তাক্ত আলেক্সেন্ড্রিয়া- ৭৫
* মাকে পাওয়ার মামলা- ৮১
* আত্মত্যাগ- ৮৫
* উপলব্ধির গল্প: আর কি পাবো তারে!- ৮৭
* কিছু স্মৃতি, কিছু শূন্যতা- ৯১
* পুরস্কার- ৯৫
* স্বঃপ্ন, দুঃস্বপ্ন- ৯৭
* আনুগত্যের গল্প: সঠিক পথের দিশা- ১০৩
* মায়ের অভিশাপ- ১০৫
* এক বৃদ্ধার ইসলামগ্রহণ- ১০৭
* শোচনীয় পরিণতি- ১০৯
* ফযল বিন ইয়াহ্ইয়া- ১১১
* ইবনু তাইমিয়া (আ.) এর চিঠি- ১১৩
* ধনী লোকের মানহানি- ১১৫
* সেতুবন্ধন- ১১৯
* অশুভ পরিণাম- ১২৩
* আনুগত্যের গল্প: মৃত্যু থেকে রক্ষা- ১২৯
* অবাধ্যতা- ১৩১
* উপলব্ধির গল্প: অবুঝ শিশুর ভাবনা- ১৩৫
* বাবা-মায়ের স্মৃতি- ১৩৭
* সিলাহ রেহমি- ১৪৩
* সহানুভূতির সত্য রূপ- ১৪৯
কুর’আন ও হাদিস থেকে নেওয়া* ইবরাহীম (আ) এর নম্রতা- ১৫৫
* জুরাইজের ঘটনা- ১৫৭
* ‘উমার (র:) এর কান্না- ১৬১
* পাথর অপসারণ- ১৬৫
* বাবা-মায়ের দু’আ- ১৬৭
* উত্তম আচরণ ও সম্মান- ১৭০
* অমুসলিম পিতা-মাতার সাথে আচরণ- ১৭১
* দীর্ঘায়ু ও সম্পদ লাভ- ১৭৩
* এক ইয়েমেনীর ঘটনা- ১৭৪
মায়ের চিঠি প্রিয় খোকা,
বেশ কিছুদিন ধরে তোমার কথা খুব মনে পড়ছে। ঘুরেফিরে কেবল পুরোনো দিনের স্মৃতিগুলোই চোখের সামনে ভেসে উঠছে বার বার। তখন সময়টা ছিল বিয়ের প্রায় বছর দেড়েক পর। একজন নারী তার জীবনে সবচেয়ে প্রিয় যে সংবাদ পেতে পারে, সেই সংবাদ আমিও পেয়েছিলাম। তুমি জানো, কী ছিল সেই সংবাদ—যা আমাকে জীবনের পরম আনন্দে ভাসিয়েছিল? সেটা ছিল তোমার অস্তিত্বের সংবাদ। আমাকে বলা হয়েছিল, আমার গর্ভে তুমি এসেছ। বাবা আমার, আমি তোমাকে কোনোভাবেই সেই মুহূর্তের কথা বলে বোঝাতে পারবো না। আমার গর্ভে তোমার অস্তিত্বের সংবাদ যে আমাকে কী রকম আনন্দের প্লাবনে ভাসিয়েছে—সেটা তুমি কোনোদিনও বুঝবে না।
তারপর অনেকগুলো সপ্তাহ কেটে গেল। আমার শরীরে আস্তে আস্তে পরিবর্তন আসতে লাগল। শরীরের এই পরিবর্তনের সাথে সাথে আমি ভয়ও পাচ্ছিলাম। কারণ, আমি যা-ই খেতাম তা-ই বমি হয়ে যেত। প্রচণ্ড দুর্বলতা এসে আমার শরীরে ভর করতে লাগল। তুমি বড় হওয়ার সাথে সাথে আমার শরীরও দিন দিন বড় হতে লাগল…. “প্রশান্তির খোঁজে” বইটির ভূমিকাঃ
আলহামদুলিল্লাহ, সমস্ত প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা দয়াময় আল্লাহর। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক সমস্ত বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠানো নবী মুহাম্মাদ ৬ এর ওপর। আরো শান্তি বর্ষিত হোক তাঁর পরিবার, সাহাবা আজমাইন ও সালফে-সালেহীনদের ওপর। এই বইটি আপনাকে আল-কুর’আনের বাণীর সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিবে। | চিন্তার দুয়ারকে প্রসারিত করবে। আমলের প্রশান্তিকে বৃদ্ধি করবে ইন শাআ আল্লাহ।
আধ্যাত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানের সমন্বয়ে যিনি আল্লাহর কালামকে বাস্তবতার সাথে তুলে ধরেন, বের করে আনেন এর সৌন্দর্য, একে তুলে ধরেন জীবন্তরূপে, যার সূরা আলকাহাফের অনলাইন ওয়েবিনারে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশ থেকে সরাসরি অংশ নেন, যার স্টোরি নাইট (আল-কুর’আনের গল্পরাত) একবার শুনে বখে যাওয়া সন্তান কেবল আল্লাহর কালাম নিয়েই পড়ে থাকে, যার লেকচার শুনে অমুসলিম ই-মেইলে বলেন। “আল্লাহ সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ” – তিনিই উস্তাদ নোমান আলী খান। বৈশ্বিক ভাষা হিসেবে তিনি ইংরেজিতে আল্লাহর কালামকে এতো দূরে নিয়ে গিয়েছেন যে আল- কুর’আনকে জানার ও আরবী ভাষা শেখার রীতিমতো আন্দোলন শুরু হয়েছে তাঁর শিক্ষাগুলো নিয়ে। যিনি একসময় নাস্তিক হয়ে গিয়েছিলেন আর এখন তার যৌক্তিক ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের সমন্বয়ের নিচ্ছিদ্র শিক্ষাগুলো পেয়ে লাখ লাখ তরুণ যুবক-যুবতী, সেকুলার, নাস্তিক ও আধুনিক-মনন থেকে ফিরে পাচ্ছে ফিতরাতী জীবন, আল্লাহর প্রশান্তিময় জীবনব্যবস্থা ইসলাম।
বাংলাভাষায় উস্তাদের সেই আল-কুর’আনের সহজ অথচ গভীর দৃষ্টিসম্পন্ন কাজগুলো প্রকাশ করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দবোধ করছি। মূল কাজগুলো করেছেনে NAK| BANGLA টিম এবং তাদের সম্মানিত কর্মীবৃন্দ। তাদের অসামান্য পরিশ্রমকে আল্লাহ তায়ালা যেন কবুল করেন ও উত্তমরূপে সেগুলোকে বৃদ্ধি করে দেন বহুগুণে। আমাদের জন্য দো’আ করবেন যেন পরবর্তীতে আরো ভিন্ন ভিন্ন রত্ন উপহার দিতে পারি এই পথ চলায়…।
সূচিপত্রঃ
* আমাদের যাত্রার কথা
* উস্তাদ নোমান আলী খানের জীবনী
* ইসলাম আমরা মুসলিম, কিন্তু কেনো?
* ইসলামের অপরিহার্য বিষয়াবলি,
* ডাকুন আপনার রবের পথে
* ইসলামের নিরন্তর পরিপূর্ণতা ধৈর্যশীল ও বুদ্ধিবৃত্তিক শয়তানের পথভ্রষ্টতার পলিসি এবং আমরা
* ধর্ম সম্পর্কে না জেনে কথা বলা
* দরদ: আল্লাহর রাসূলের এক অসাধারণ গুণ
* তিনি যেমন পৃথিবী দেখতে চেয়েছিলেনঃ ইসলাম ও বর্ণবাদ
* ঈমান স্থায়ীভাবে অন্তরের প্রশান্তি অর্জন
* দৃঢ় প্রত্যয়ী মুসলিমের দুইটি অসামান্য উদাহরণ
* যেভাবে শিরকের দরজা খুলে যায়
* অন্তহীন শূন্যতাঃ সমাধান কী?
* “আর রাহমান” – যিনি আপনাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন
* আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক,
* আল্লাহর উপর ভরসা ধরে রাখা
* আল্লাহর কাছে কী চাইবো?
* ইবাদত
* আমরা কেন ইবাদত করি?
* আল্লাহর জন্য সুসজ্জিত হোন
* আমি মুসলিম অথচ ঠিকমতো নামাজ পড়তে পারি না.
* আলহামদুলিল্লাহ’ এর আসল অর্থ কী?
* আপনার প্রতি আল্লাহর নেয়ামত ও শয়তানের শয়তানি
* চলাফেরায় বিনয় ও ভদ্রতা
* আখিরাত মৃত্যুপরবর্তী জীবনের প্রমাণ পৃথিবীঃ আমাদের দ্বিতীয় জীবন একটি সাংঘর্ষিক অনুভূতি
* সময়
* আখিরাতের জন্য পরিকল্পনা করা
* জীবনের উদ্দেশ্য
* আধ্যাত্মিকতা
* আধ্যাত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিশুদ্ধি,
* ইসলাম ও আত্ম-অহংকার
* মানসিক শান্তির সন্ধানে
* কুর’আনের দৃষ্টিতে সব দেখা
* আল্লাহর রাস্তায় অগ্রসর হও
* গুনাহ হয়ে গেল, এরপর?
* আল্লাহর কাছে কীভাবে ক্ষমা চাইবেন?
* মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ঃ ইসলামের প্রাথমিক যুগের আলেমদের
* দৃষ্টিভঙ্গি
মুসলিম ডেভেলপমেন্ট
* শ্রেষ্ঠত্বের সাধনা
* প্রাইভেট সেক্টর এবং একাডেমিয়ার গুরুত্ব
* মনের অসহিষ্ণুতাঃ আল্লাহর দেয়া প্রতিবিধান
* যখন আপনি নিজেকে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেবেন
* পরিশিষ্টঃ ১ বাইয়্যিনাহ টিভি কি?
* পরিশিষ্ট – ২ যেখানে উস্তাদ নোমান আলী খানের কাজগুলো পাওয়া যাবে খারেজি (উৎপত্তি, চিন্তাধারা ও ক্রমবিকাশ) বইয়ের কথাঃ আমরা এমন এক যুগে বসবাস করছি, যেখানে তুমুল ঘূর্ণিঝড় চলছে ইসলাম ধ্বংসের। আমাদের দীন ও আকিদা নির্মূলে চলছে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র। ইতিহাসের এমনই এক অভিশপ্ত দল খারেজি। ইসলামের আকিদা হতে প্রথম বিচ্যুত দলও এটি। তাদের ছিল স্বতন্ত্র চিন্তাধারা এবং বিশেষ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি—যা যথারীতি একটি আকিদা হিসেবে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর দিকে দিকে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ছড়িয়ে রেখেছে। দলছুট এসব খারেজিদের নিন্দায় রাসুল সা. হতে বহু হাদিস বর্ণিত রয়েছে। তাদের অনিষ্টতার প্রতি ইঙ্গিতবাহী হাদিসের সংখ্যাও কম নয়। আলোচ্য গ্রন্থটি খারেজিদের বিষয়ে একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নিয়ে রচিত। এতে খারেজি সম্প্রদায়ের প্রকৃতি ও ইতিহাস, তাদের সাথে আমিরুল মুমিনিন হজরত আলি ইবনে আবি তালিব রা.-এর আচরণ, তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নেপথ্য কারণ উঠে এসেছে। পাশাপাশি যুগে যুগে তাদের কুকীর্তি যেমন : ধর্মে বাড়াবাড়ি, দীন সম্পর্কে উদাসীনতা, তাকফিরের অযথা অপব্যবহার ইত্যাদি বিষয়েও বিবৃত হয়েছে প্রখ্যাত আরব স্কলার ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির কলমে। ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় তিনি পাঠকদের সামনে উন্মোচন করেছেন—যেখান থেকে আমরা পাব অসংখ্য শিক্ষার খোরাক।
“ভ্রান্তিবিলাস” বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ
কিছু মানুষ তাদের ভ্রান্ত চিন্তা-চেতনাগুলাে। সাহিত্যের মােড়কে বাজারজাত করে । ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় সমাজের একটা শ্রেণি ওদের লেখনীর দ্বারা প্রভাবিত হয়, ধীরে ধীরে পা বাড়ায় ভ্রান্তির জগতে।। ভ্রান্তির জগৎ কালাে অন্ধকারে ঢাকা। মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তােলার মতাে আলাে সেখানে নেই। ওই জগন্টা। মানুষকে অমানুষ করে দেয়। নামিয়ে দেয়। পশুদের চেয়েও নিকৃষ্ট স্তরে। আর যাতে। কেউ ওদিকে পা না বাড়ায়, সে প্রত্যাশায়। রচিত আমাদের এই বই।
বইটির প্রথম অংশের কিছু কথাঃ
স্রষ্টা কেন এত ধর্ম পাঠিয়েছেন?
সব ধর্মের অনুসারীরাই দাবি করছে যে, তাদের ধর্মই স্রষ্টা পাঠিয়েছেন। যদি স্রষ্টা। একজনই হন, তবে তিনি কেন একাধিক ধর্ম পাঠিয়েছেন? আর যদি স্রষ্টা একটি মাত্র ধর্ম পাঠিয়ে থাকেন, তবে স্রষ্টার মনােনীত সেই ধর্ম কোনটি?
হুমায়ুন আজাদ তার লেখনীর মাধ্যমে কম জ্ঞানসম্পন্ন মানুষদের বিভ্রান্ত করার কিছুটা ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন—যদি স্রষ্টা একজনই হন, তবে তিনি কেন একাধিক ধর্ম পাঠিয়েছেন? কেন একটি ধর্ম পাঠালেন না?
“বহু ধর্ম রয়েছে পৃথিবীতে। একটি সরল প্রশ্ন জাগতে পারে যে বিধাতা যদি থাকেন তিনি যদি একলাই স্রষ্টা হন, তবে তিনি কেনাে এতাে ধর্ম পাঠালেন। তিনি একটি ধর্ম পাঠালেই পারতেন, এবং আমরা পরম বিশ্বাসে সেটি পালন করতাম। তিনি তা করেন নি কেনাে? ১)
তার এই অভিযােগের জবাবে আমাদের সরল কথা এটাই, স্রষ্টা পৃথিবীর শুরু থেকে আজ অবধি একটি মাত্র ধর্মই মানবজাতির জন্যে নির্বাচিত করেছেন। আর তা হলাে— ‘ইসলাম। স্রষ্টার মনােনীত দ্বীনের মৌলিক বিষয়বস্তু যুগে যুগে একই ছিল। যুগে। যুগে আল্লাহ যত নবি-রাসূলদের পাঠিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই মানুষকে তাওহিদের দাওয়াত দিয়েছেন। তাঁরা মানুষকে আল্লাহর পরিচয় বুঝিয়েছেন, ভালাে-মন্দ, সত্যমিথ্যার পার্থক্য শিখিয়েছেন, জান্নাত-জাহান্নামের কথা তুলে ধরেছেন। তবে বিভিন্ন যুগে নবি-রাসূলদের শারীআতের হুকুম-আহকাম তথা ইবাদাত ও মুআমালাতের (জাগতিক লেনদেন ও অন্যান্য কাজ) পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য ছিল। উদাহরণস্বরূপ,
১. হুমায়ুন আজাদ, আমার অবিশ্বাস, অধ্যায়