মন পুরানের জোছনার জৌলুসে জ্যোতির্ময় এক ঋষি রুদ্র। রুদ্রের রুপস রুপ যেন মহাকালের জৈত্র জ্বলদর্চি। জিতেন্দ্রিয় সত্য সাধক রুদ্রর তপবনে চুপিসারে মায়ামৃগ হয়ে আসে লামিয়া। সে মায়ামৃগের মৃগনাভির সপ্রান সৌরভ আর মৃম্ময় মৃদুল মূর্চ্ছনায় ধ্যান ভঙ্গ হয় রুদ্রের। রুদ্র সে শুদ্ধ সুগন্ধিতে স্বিন্ন হয়। যে সুরভী জীবাশ্মের মত ধারন করে মানুষের স্বপ্ন-সংগ্রাম,কল্পনা-কামনা, আশা-হতাশা, লাভ-লোভ,অনুরাগ-অভিমান,বিশ্বাস-বিপ্লব, প্রেম-দ্রোহ। স্বোপার্জিত অমিতাভ অভিমানে রুদ্র অনুভব করে এক নিঃসঙ্গ নীলকন্ঠের আর্তনাদ।
লামিয়ার পরমার্থিক,প্রসাধিত প্রেম স্পর্শ করতে চায় রুদ্রকে। কিন্তু সে মহার্ঘ্য স্পর্শের মায়ামুক্ত রুদ্র আবার সমাধিস্থ হয় অমৃত, অমর্ত্য সমাধিতে। – শায়েখ শোয়েব, কবি-গবেষক