মানব জন্মের সর্বপ্রথম শিক্ষা আমরা প্রকৃতি থেকে পাই । আমাদের অজান্তেই কণ্ঠ ছেড়ে বেড়িয়ে আসে একটি শব্দ ‘মা’ । তারপর আমাদের বেড়ে ওঠায় আমরা নানাভাবে নানা রকম বর্ণের সাথে পরিচিত হই, বলতে শিখি, লিখতে শিখি । বর্ণ থেকে শব্দ, শব্দ থেকে জীবন, জীবন থেকে অমরত্ব অথবা ধ্বংস! মূলত আমাদের বর্ণগুলোর যথার্থ প্রয়োগই লিপিবদ্ধ করে আমাদের আয়ুষ্কাল । এই বর্ণের সমন্বয়ে যেমন রচিত হয় একটি মৃত্যুনামা আবার এই বর্ণের ছোঁয়াতেই জীবন ফিরে পায় তার আপন ঔজ্জ্বল্য । একজন কবির দুঃখ, যন্ত্রণা, সুখ প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, সময়, সভ্যতা এবং প্রতিবাদ নানা বর্ণের স্পর্শ সুখে যখন আঙুল হতে নেমে এসে অক্ষরের জটলায় শরীর বাধে, আমরা তাকে কবিতা বলি । বর্ণের যাদুর স্পর্শে কবিতা হয়ে উঠে রমণী, আমরা সেখানে রমন করে তৃপ্ত হই । তেমনই কয়েকজন তরুণ কবির না বলা কথাগুলো বর্ণ এবং অক্ষরের যৌথ যোজনায় তিলোত্তমা হয়ে কবিতার শরীর ধারণ করেছে। কবিদের অব্যক্ত কথামালায় সাজানো বর্ণ তিলোত্তমা সত্যিই এক বিস্ময়কর নান্দনিক সৃষ্টি ।