গ্রন্থমেলা ২০১৯ এ এই সাহিত্যপ্রেমী মানুষগুলাের নানা সময়ে বিষয়ভিত্তিক লেখাগুলিকে মলাটবন্দী করে রাখতেই এই লেখাজোখা সংকলন প্রকাশের প্রয়াস। এ ব্যাপারে ইমরান হাসান জেসন ভাইয়া আর রাবেয়া রাহীম আপুই আসলে ছিলেন প্রধান উদ্যোক্তা। আর ভাইয়া যখন বললেন, এ বইটি সম্পাদনা করতে হবে আমাকে আর গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাইয়াকে; তার এ প্রস্তাবনায় আমিও আনন্দে মেতে উঠলাম। সাহিত্য যেন এখানে পেয়েছে এক নতুন মাত্রা। ফেসবুকে ঢুকলেই দেখা যায় সাহিত্য আনুরাগী মানুষেরা লিখে চলেছে নানা বিষয়ে নানা ভাবনায় তাদের। হৃদয়ের কথনগুলি। একটা সময় ছিলাে বহু কবি সাহিত্যিক অকালে ঝরে গিয়েছেন। অন্ধকারে গুমরে মরেছে তাদের হৃদয়ের কথকতা, তাদের শ্রম। নির্যাসে ভরা লেখাগুলি। বাণ্ডিলের পর বাণ্ডিল লেখাগুলি রয়ে গেছে সকলের অগােচরে। কিন্তু ফেসবুকের সাহিত্য চর্চা যেন অনেকাংশেই দূর করেছে সেই ঘাটতিটুকু। দৈনন্দিন লেখালিখির চর্চা একজন মানুষকে লেখক হিসাবে আত্মপ্রকাশে দৃঢ়তা বাড়ায় ও আত্মপ্রত্যয়ের প্রয়ােজনীয় সাহস যােগায়। আজ ফেসবুকের এই সাহিত্য গ্রুপগুলি সেই চর্চার স্থানটিকে করেছে আরও বিস্তৃত।