“ডিজিটাল ফরট্রেস” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
ডিজিটাল ফরট্রেস একটি টেকনােথ্রিলার উপন্যাস। পুস্তকটিতে ইলেকট্রনিক আধারে সঞ্চিত জনসাধারণের ব্যক্তিগত জীবনের তথ্যের ওপর সরকারের খবরদারি, ব্যক্তিস্বাধীনতা লঙ্ঘন এবং এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাব্য নৈতিক পরিণতির বিষয় নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি এনএসএ’র অপরাজেয় কোড-ব্রেকিং সুপার কম্পিউটার ট্রান্সলেটার’ যখন একটি রহস্যময় সংকেতলিপির পাঠ উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলাে, তখন এজেন্সির প্রধান ক্রিপ্টোগ্রাফার সুন্দরী ও মেধাবী গণিতবিদ সুজান ফ্লেচারকে তলব করা হলাে। সে যে রহস্য উদ্ঘাটন করল, তা ক্ষমতার অলিন্দে একটি প্রচণ্ড ধাক্কা দিল। কামানবন্দুক বা বােমা নয়, এনএসএ-কে জিম্মি করা হলাে এমন একটি জটিল কোড দিয়ে, যা উন্মােচিত হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গােয়েন্দা জগৎ পঙ্গু হয়ে যেত। গােপনীয়তা আর মিথ্যার বেগবান একটি ঝড়ের মাঝে আটকা পড়ে, সুজান ফ্লেচার এজেন্সিকে বাঁচানাের জন্য লড়াই করে চলল। সবদিক দিয়ে প্রতারিত হয়ে, কেবল দেশের জন্য নয়, নিজের প্রাণ বাঁচাতে এবং শেষ পর্যন্ত তার ভালােবাসার মানুষের জন্যও তাকে লড়াই করতে হচ্ছিল। ক্ষমতার পাতাল কক্ষ থেকে শুরু করে, টোকিও’র গগনচুম্বি অট্টালিকা এবং স্পেনের সুউচ্চ ক্যাথেড্রালের টাওয়ার পর্যন্ত একটি বেপরােয়া দৌড় শুরু হলাে। এটা ছিল প্রাণ বাঁচানাের লড়াই একজন অসামান্য প্রতিভাবানের সৃষ্টি ধ্বংস করার জন্য একটি নিলামের ডাক… একটি অভেদ্য সংকেতলিপির ফরমুলা, যা ঠান্ডা যুদ্ধোত্তর পৃথিবীর ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিহ্ন করার জন্য একটি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, চিরকালের জন্য।