“মহাভারতের কথা” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
বুদ্ধদেব বসু অধ্যাপনা সূত্রে গিয়েছিলেন মার্কিন দেশের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে। অধ্যাপনার অন্যতম প্রসঙ্গ ছিল তুলনামূলক ইন্দো-ইউরােপীয় মহাকাব্য। ইলিয়াড-ওডিসিঈনীডের সঙ্গে মহাভারত ও রামায়ণ তুলনামূলক চর্চার সূত্রে তাঁর মনে মহাভারত বিষয়ে একটি বই লেখার ইচ্ছে দেখা দেয়। এক দশক পরে তিনি রচনা করেন ‘মহাভারতের কথা, যে-গ্রন্থখানি মহাভারত চর্চায় একটি অবিস্মরণীয় নাম। তুলনা ও প্রতিতুলনার টানে রামায়ণ ও অন্যান্য পুরাণের প্রসঙ্গ এসেছে। উল্লেখিত হয়েছে পশ্চিমদেশীয় প্রাচীন ও অর্বাচীন সাহিত্য এবং স্বদেশজাত আরও কিছু দৃষ্টান্তও। মুখবন্ধ’-এ বুদ্ধদেব বসু স্বয়ং লিখেছেন, “নানা দেশের ও নানা যুগের কল্পনাচিত্র, যারা পরস্পরের দর্পণের কাজ করে আর কখনাে কোনাে ঐতিহাসিক ঘটনাও এদের সংসর্গে স্থাপন করে আমি দেখাতে চেয়েছি যে মহাভারত কোনাে সুদূরবর্তী ধূসর স্থবির উপাখ্যান নয়, আবহমান মানবজীবনের মধ্যে প্রবহমান।” মেধা ও হৃদয়ের, তর্ক ও মুগ্ধতার বৃহৎ পরিসরে এই আলােচনা গ্রন্থটি শেষাবধি ‘এক রসভােক্তার আনন্দবােধের নিঃসরণ।