যে জীবন বকপক্ষীর

৳ 250.00

লেখক
প্রকাশক
ভাষা বাংলা
দেশ বাংলাদেশ

যে জীবন বকপক্ষীর –ফ্ল্যাপে লেখা কথা আমাদের মফস্বল থেকে আধঘন্টার দূরত্বে একটা ঝিল ছিল। বাবা মাঝে মাঝে আমাদের নিয়ে সেখানে ঘুরতে যেতেন। আমি এক হাতে তার একটা আঙুল ধরে হাঁটতাম। বেশি হাঁটতে পারতাম না, ক্লান্ত লাগতো। ঝিলের পাড়ে একটা জায়গায় বাবা আমাকে বসিয়ে দিতেন। বলতেন, “এইখানে চুপ করে বসে থাক। দেখ কী সুন্দর বক!”
আমি বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকতাম। ঝিলের উপর, চারপাশে অসংখ্য বক। ঝিলের পানি সাদা হয়ে যেত, এমন অবস্থা। এতদিন পর আমার আবার সেই বক দেখতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে। একটা গোটা ঝিল সাদা করে দেয়া বক। কোনোটা উড়ছে, কোনোটা ঝিলের উপর এক পায়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। কীসের অপেক্ষা? মানবজীবনটা মনে হয় এই বকপাখির জীবনের মতোই! এই জীবন অপেক্ষার! বকপাখি শুধু মাছের জন্য অপেক্ষা করে, কিন্তু এই মানুষের অপেক্ষা কিসের জন্যে? আমার মনে হয়, মানুষ জীবনভর শুধু সুখের সন্ধান করে কাটিয়ে দেয়। যেই সুখের দেখা কেউ পায় আবার কেউ পায় না। তবুও তারা এই বকপক্ষীর মতই অপেক্ষায় তাদের জীবন কাটিয়ে দেয়!

জন্ম ২৫শে ডিসেম্বর, ঢাকায়। বাবা সনাতন মন্ডল, মা সুষমা মন্ডল। দুই ভাইয়ের মাঝে অবস্থান দ্বিতীয়। পড়াশোনা, বস্ত্র প্রকৌশলী বিভাগ (টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং), আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ইঞ্জিনিয়ারিং এর বই ভর্তি অংক ছেড়ে, কেন এই লেখার জগতে? উত্তর দিতে গিয়ে কিছুটা থমকে যেতে হয়। এরপর মনে পড়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর এক ম্যাগাজিন বের করা হতো। চারটে বছরে তার একমাত্র অর্জন- আটটি ম্যাগাজিনে নিজের নাম, নিজের লেখা অক্ষর ছাপা হরফে দেখা। প্রত্যেকটা মানুষের বুকের ভেতর অজস্র গল্প থাকে। যত দিন পেরোয়, গল্প হয়ে ওঠে উপন্যাস, ভারী হয়ে উঠতে থাকে অসংখ্য পাতা। এক সময় সেই ভার বয়ে বেড়াবার ক্ষমতা সকলের থাকে না। তারও হয়নি। তিনি তাই দুই মলাটের ভেতর সেসব গল্প আটকে দিয়ে নির্ভার থাকতে চেয়েছেন। প্রথম উপন্যাস, ‘যে জীবন বকপক্ষীর’ এমনই এক প্রচেষ্টা। কতটা সফল হয়েছেন, সেটির বিচারের ভার পাঠকের হাতেই থাক।


বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ